আজকের কৌতুক: একটি প্যান্টের আত্মকাহিনি
একটি প্যান্টের আত্মকাহিনি
বিদেশি:তোমরা এই ১টা প্যান্ট কত দিন ধরে পরো?
বল্টু: ১ বছর।
বিদেশি: ব্যাস ১বছর? তার পর ফেলে দাও?
বল্টু: না, বউ ওটা কেটে ছোটো করে ছেলের সাইজে করে দেয় আর সেটা ১ বছর ধরে ছেলে পরে।
বিদেশি: তারপর নিশ্চই ফেলে দাও?
বল্টু: পাগল নাকি! ভালো নতুন প্যান্ট কেউ ফেলে!
বউ ওটা কেটে বালিশের কভার বানিয়ে দেয়, আর সেটা আরও ৬ মাস চলে যায়। তারপর এই বালিশের কভার টা ঘর মোছার কাজে লেগে যায় আরও ৬ মাসের জন্য।
বিদেশি: আর তো দেখছি পাজামার কিছুই বেঁচে নেই, তাই তখন নিশ্চই ফেলে দাও?
বল্টু: আরে ধুর বাপু, ফেললেই হলো! ঘর মোছা খারাপ হলে সেটা আরও ৬ মাস জুতা পরিষ্কার করতে কাজে লেগে যায়। তারপর আরও কিছুদিন বাইকের সাইলেন্সার চমকাতে কাজে লাগে, তারপর সেটা হাতে বানানো কাপড়ের বল বানিয়ে চিন্টু (বল্টুর ছেলে) কিছুদিন খেলে। তার পর যখন একদম খারাপ হয়ে যায় তখন উনুন ধরাতে কাজে লাগে, আর তার পর সেই ছাই দিয়ে বউ বাসন মাজে।
জানিনা সেই বিদেশি বাকি কথা গুলো শুনেছে কি না কারণ বল্টু সব বলে যখন ফিরে দেখলো বিদেশি লোকটা ততক্ষণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল!
****
রোগীর কানে টিকটিকি
চিকিৎসক-রোগীর মধ্যে কথা হচ্ছে।
রোগী: ডাক্তারবাবু, আমার কানের মধ্যে একটি টিকটিকি ঢুকে গিয়েছে।
চিকিৎসক: কখন?
রোগী: সকাল আটটার দিকে।
চিকিৎসক: আরে, এখন দুপুর ১২টা বাজে! আপনি আগে আসেননি কেন?
রোগী: আমি ভেবেছিলাম, সকাল ছ’টার দিকে আমার কানে যে পোকাটা ঢুকেছিল, টিকটিকি ওটাকে খেয়েই বার হবে। কিন্তু এখন দেখছি টিকটিকি-মাছি কোনওটাই বেরোচ্ছে না।
****
বোকা ডাকাত ও তার চালাক উকিল
ছক্কু খুব বোকা ডাকাত। কিন্তু তার উকিল খুবই চালাক। তিনি বিচারককে বলছেন—
উকিল: মাননীয় বিচারক, সব তথ্যের ভিত্তিতে এটা নিঃসন্দেহে প্রমাণিত যে, আমার মক্কেল জনাব ছক্কু সম্পূর্ণ নির্দোষ। ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে তিনি কোনো ভাবেই জড়িত নন। অতএব, তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হোক।
বিচারক: ছক্কু, আপনার কিছু বলার আছে?
ছক্কু: বেকসুর খালাস পেলে কি আমাকে ব্যাংকের টাকাগুলোও ফেরত দিতে হবে?
কেএসকে/জেআইএম