আজকের কৌতুক: ঠান্ডা না গরম
ঠান্ডা না গরম
হরিপদ বেজায় কৃপণ। একদিন তার বাড়িতে হাজির হলেন তার বন্ধু শশধর।
শশধর: কিরে হরিপদ, তোর বাড়িতে এলাম, কিছু খাওয়াবি না?
হরিপদ: কী খেতে চাস, বল। ঠান্ডা, না গরম?
শশধর: নিয়ে আয়। ঠান্ডা গরম দুটাই খাব।
হরিপদ হাঁক ছাড়লেন, কই রে জগাই, ফ্রিজ থেকে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি আর চুলা থেকে এক গ্লাস গরম পানি নিয়ে আয়!
****
এক ডজন উকিল
একজন শিক্ষক গেছেন নাপিতের দোকানে চুল কাটাতে। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন—
নাপিত: আপনি একটি মহৎ পেশায় নিয়োজিত। আপনার কাছ থেকে আমি টাকা নেব না স্যার।
শিক্ষক খুব খুশি হলেন। পরদিন সকালে নাপিত দোকানে এসে দেখেন, দোকানের সামনে শিক্ষক এক ডজন বই রেখে গেছেন। সেদিন চুল কাটাতে এলো এক পুলিশ। চুল কাটা শেষে নাপিত বললেন—
নাপিত: আপনি জনগণের সেবক। আপনার কাছ থেকে কী করে টাকা নিই? পুলিশ খুশি হয়ে পরদিন নাপিতের দোকানের সামনে এক ডজন কমলা রেখে গেলেন।
এরপর একদিন নাপিতের দোকানে এলেন এক উকিল। নাপিত উকিলের কাছেও টাকা রাখলেন না। বললেন—
নাপিত: আপনি ন্যায়ের জন্য লড়াই করেন। আপনার কাছে আমি টাকা নেব না, স্যার।
পরদিন দেখা গেল, এক ডজন উকিল নাপিতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে!
****
রোমাঞ্চকর ও রহস্যে ভরা
রকি: দোস্ত, আমি তো ছুটি কাটাতে কক্সবাজার যাচ্ছি। আমাকে একটা ভালো বই দিতে পারিস? জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ, রহস্যময় কোনো বই, যেন বইটা পড়ে আমার ছুটিটা ভালো কাটে।
পল্টু: এই বইটা নিয়ে যা। খুবই রোমাঞ্চকর আর রহস্যময়। মজাটা হলো, নায়কের বাবাকে কে খুন করল, সেটা তুই আগে কিছুতেই বুঝতে পারবি না। একেবারে শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে জানবি, খুনটা আসলে বাগানের মালি করেছে!
কেএসকে/জেআইএম