সপ্তাহের রসালাপ: এডিসনের কিছু মজার ঘটনা
টমাস আলভা এডিসনের কথা তো আমরা সবাই জানি। তিনি ছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী। ছেলেবেলা থেকেই তিনি কৌতূহলী মন নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন। মাত্র পাঁচ-ছয় বছর বয়স থেকেই বিশ্বখ্যাত এ বিজ্ঞানী জন্ম দিয়েছেন মজার মজার সব কাণ্ড-কারখানা। এমন কিছু ঘটনা অনেকেরই জানা। সেসব থেকেই কিছু তুলে ধরা হলো—
ছোটবেলায় তিনি ভাবলেন, হাঁস যদি ডিম থেকে বাচ্চা ফোটাতে পারে; তবে মানুষ কেন পারে না? এমন কৌতূহল নিয়ে তিনি একবার হাঁসের খাঁচায় ঢুকে বসে ছিলেন চুপচাপ। হাঁস কীভাবে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটায় সেটাই দেখছিলেন নিবিড়ভাবে। সেই শৈশবেই তাঁর অকাট্য যুক্তি ছিল এমন, হাঁসের নিচে ডিম রাখলে তা থেকে বাচ্চা বের হলে আমার পেট থেকে কেন হবে না?
টমাস আলভা এডিসন ছিলেন খুব ভুলোমনা, কোনো কিছুই মনে রাখতে পারতেন না। তখন তিনি বেশ টাকাওয়ালা মানুষ। গেলেন ট্যাক্স অফিসে রিটার্ন জমা দিতে। গিয়ে নিজের নাম লিখতে গিয়ে পড়েছেন বিরাট বিপদে। কিছুতেই নিজের নাম মনে করতে পারছেন না। তিনি দিব্যি নিজের নামটাই ভুলে বসে আছেন। বসে বসে চুল ছিড়ছেন আর দাঁত কিড়মিড় করছিলেন। হঠাৎ প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা, ‘কী ব্যাপার টমাস, কী করো এখানে?’ মুহূর্তেই মনে পড়ে গেলো নিজের নাম।
একবার তিনি কাজ করছিলেন ল্যাবরেটরিতে। তার খেয়াল চাপলো হেলিকপ্টার বানাবেন, আর জ্বালানি হিসেবে থাকবে বারুদ। তিনি কোনো কিছু না ভেবে যেই চিন্তা সেই কাজ শুরু করে দিলেন। একটি নমুনা বানিয়ে যেই চালাতে গেলেন, সঙ্গে সঙ্গে বুম! পুরো ল্যাবরেটরিতে আগুন ধরে গেলো। পড়ি কি মরি, কোনোমতে বের হয়ে প্রাণ বাঁচালেন!
প্রথাগত ভোজসভা এড়িয়ে চলতেন এডিসন। একবার চাপে পড়ে একটি ডিনার পার্টিতে যেতে হলো তাকে। একপর্যায়ে এতটাই অসহ্য লাগল যে, চুপচাপ কেটে পড়বেন বলে মনস্থির করলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ঠিক বেরিয়ে যাওয়ার মুখেই বাড়ির মালিকের মুখোমুখি হয়ে গেলেন।
ভদ্রলোক উচ্ছসিত কণ্ঠে বললেন, ‘আপনাকে এই পার্টিতে পাওয়া একটি অসাধারণ ব্যাপার মি. এডিসন। তা এখন আপনি কোন প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন?’ শুষ্ক কণ্ঠে জানালেন এডিসন, ‘এখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে যাওয়া যায় তার ওপর!’
লেখা: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
এসইউ/জিকেএস