সপ্তাহের রসালাপ : শ্বশুরের সঙ্গে বোকা জামাইয়ের কাণ্ড!
ছেলে নতুন বিয়ে করেছে। বিয়ের পর এই প্রথম শ্বশুরবাড়ি যাবে। ছেলের বুদ্ধি-শুদ্ধি একটু কম। তাই মা তাকে ভালো করে শিখিয়ে দিচ্ছেন।
অনেক বোঝানোর পর মা বললেন, ‘তোর শ্বশুরের অসুখ। তাই আগে তাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করবি, কেমন আছেন? উনি হয়তো বলবেন, ভালো। তখন বলবি, এইটাই তো আমাদের কাম্য।’
একটু থেমে মা আবার বললেন, ‘তারপর তিনি কী পথ্য নিয়েছেন জানতে চাইবি। তিনি কিছু একটা বলবেন। তুই তখন বলবি অতি উপাদেয় পথ্য। রোজ খেলে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি।’
ছেলে মাথা নাড়ল। মা এবার বললেন, ‘তারপর জিজ্ঞেস করবি, কোন ডাক্তার তার চিকিৎসা করছেন। ডাক্তারের নাম শুনে বলতে পারবি তো, দারুণ ডাক্তার, খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবেন!’
সবশেষে মা বললেন, ‘আর সব সময় হাসি হাসি মুখ করে থাকবি কেমন?’ মা নেওটা ছেলে ঘাড় নেড়ে বেরিয়ে পড়ল।
শ্বশুর মশাই রোগের জ্বালায় বিছানায় শুয়ে ছটফট করছেন। জামাই ঘরে ঢুকে হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল, ‘কেমন আছেন বাবা?’ শ্বশুর বললেন, ‘আর বাঁচার ইচ্ছা নেই, এবার মরলেই বাঁচি।’
এ কথা শুনে জামাই বলল, ‘এটাই তো আমাদের কাম্য। তা কী পথ্য নিচ্ছেন এখন?’ শ্বশুর চটে গিয়ে বললেন, ‘ঘোড়ার ডিম।’
তা শুনে জামাই বলল, ‘বাহ, বাহ, অতি উপাদেয় পথ্য। রোজ খেলে ভালো হয়ে যাবেন আশা করি।’
এরপর আবার হাসতে হাসতে জামাই বলল, ‘তা, ইয়ে কোন ডাক্তারকে দেখাচ্ছেন?’ শ্বশুর আরও চটে গিয়ে বললেন, ‘যম।’ জামাই বলল, ‘খুব ভালো ডাক্তার, বেশ নাম করা ডাক্তার। আপনি কিছুদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে উঠবেন।’
লেখা ও ছবি : সংগৃহীত
প্রিয় পাঠক, আপনিও অংশ নিতে পারেন আমাদের এ আয়োজনে। আপনার মজার (রম্য) গল্পটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়। লেখা মনোনীত হলেই যেকোনো শুক্রবার প্রকাশিত হবে।
এসইউ/এমএস