আজকের কৌতুক : মদ ছাড়ার খুশিতে দুই পেগ

কৌতুক- এক : মদ ছাড়ার খুশিতে দুই পেগ
এবার মদ খাওয়া ছাড়বে বলে সিদ্ধান্ত নিলো মিথুন। কারণ স্ত্রীর গঞ্জনা আর সহ্য হয় না। মিথুন একদম ঠিক করেই ফেলল। অফিস থেকে বাসায় ফিরছে, সামনে মদের বার হাতছানি দিচ্ছে, ‘ওরে আয় আয়, লাল-নীল কত সব বোতল।’
‘না আজ কিছুতেই খাবো না’। মুখ ঘুরিয়ে নিলো মিথুন।
‘ওরে পাগলা, দেখ ভেতরে কত কিছু, কত গ্লাস, তুং তাং মধুর শব্দ।’
‘নাহ, আজ আর খাবোই না।’

অনেক কষ্টে মিথুন নিজেকে সামলে মদের বার ক্রস করে এগিয়ে ঘরের গেটে হাত রাখল।
‘ইয়াহু, ছেড়ে দিয়েছি, পেরেছি, পেরেছি’। বলেই উল্টো দিকে দৌড়ে হাপাতে হাপাতে বারে পৌঁছেই-
‘দাদা, আজ মাল খাওয়া ছাড়তে পেরেছি, এই খুশিতে দুই পেগ সাজাও তো।’

****

কৌতুক- দুই : বউ আমাকে বের করে দিলো
টিটু : কিরে, ঘরের বাইরে বসে আছিস কেন?
শিমুল : আর বলিস না, আজ আমার ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি, বউকে একটা চেন গিফট দিলাম, আর বউ আমাকে ঘর থেকে বের করে দিলো।
টিটু : কেন? চেন কি অ্যামিটিশনের ছিল নাকি?
শিমুল : নাহ, সাইকেলের ছিল।

****

কৌতুক- তিন : প্লেট ছাড়া ভাত খাওয়া
এক গাজাখোর বাড়ি ফিরেছে। কোনোভাবেই যেন বাবা টের না পায়, সেজন্য খুব সতর্ক। দরজা খুলে দিতেই সে প্রতিদিনের মতো ‘কেমন আছো’ বলে দরজা লাগিয়ে দিলো। ‘বেশি রাত হয়েছে’ বলে বাবা কটমট করে তাকিয়ে আছেন কিন্তু বকাবকি করছেন না। বাবা বললেন, ‘ভাত খেয়ে নাও।’

ছেলেটি টেবিলে বসেছে। রগচটা বাবা দাঁড়িয়ে আছে পাশে। ভয়ে ভয়ে সে খুব সতর্কভাবে ভাত নেয়, তরকারি নেয়, তারপর ঠিকঠাক মতো খেতে থাকে। এরপর ডাল নেয়, ডাল দিয়ে খেতে থাকে।

এবার বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে বাবা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। ছেলেটি খুঁজে পায় না, সে কী ভুল করেছে। একসময় বাবা চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘ওই গাজাখোর, তোর প্লেট কই?’

এসইউ/এমএস