ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

জয়পুরহাটে পাটের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পাটের ভালো দাম পেয়ে খুশি জয়পুরহাটের কৃষকেরা। পুকুর ও ডোবায় জাগ দেওয়া, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। এবার পুকুর ও ডোবায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাট জাগ দিতে কোনো সমস্যা হয়নি জেলার কৃষকদের।

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ২০২৪-২৫ ফসল উৎপাদন খরিপ-১ মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে রয়েছে দেশি পাট ১৫ হেক্টর ও তোষা পাট ২ হাজার ৮৬৫ হেক্টর।

জয়পুরহাটে পাটের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

এবার ৪৬ হাজার ৭২০ বেল পাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। সরকারের পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করাসহ পাটের মূল্য বৃদ্ধি, জ্বালানি হিসেবে পাটকাঠি ব্যবহার ও মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার কৃষকেরা পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

ছোট মাঝিপড়া গ্রামের পাট চাষি শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি গত বছর ১ বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছিলাম। এবার দেড় বিঘা জমিতে পাট লাগিয়েছি। পাটের ফলন ভালো হয়েছে। কিছু পাট বিক্রি করেছি। দাম ভালো পেয়েছি।’

স্থানীয় কৃষি উপ-সহকারী ইনসান আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘পাট চাষ সফল করতে আমরা হাতেকলমে চাষিদের প্রশিক্ষণ, উন্নত জাতের পাট বীজ সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় সারের মজুত সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখাসহ অন্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।’

জয়পুরহাটে পাটের দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি

জামালগঞ্জের পাট ব্যবসায়ী সাজেদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছর প্রতিমণ পাট প্রকারভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও এবারের নতুন পাট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত। বর্তমানে বাজারে পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা অন্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মজিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, চলতি ২০২৪-২৫ খরিপ-১ ফসল উৎপাদন মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এবার বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। চলতি মৌসুমে ৪৬ হাজার ৭২০ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, পাটের নানাবিধ ব্যবহার বৃদ্ধি ও ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন জেলায় পাটের চাষ বাড়তে শুরু করেছে।’

আল মামুন/এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন