ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

রাজবাড়ীতে হালি পেঁয়াজ

সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন উৎপাদনের আশা

জেলা প্রতিনিধি | রাজবাড়ী | প্রকাশিত: ১২:৩৬ পিএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দাবি, চলতি বছর রাজবাড়ীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে।

জানা যায়, রাজবাড়ী পেঁয়াজ আবাদের একটি সমৃদ্ধ জেলা। এ জেলায় সারাদেশের চাহিদার প্রায় ১৬ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। দেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থান রাজবাড়ীর। সারাবছর বিক্রির জন্য এখন হালি পেঁয়াজ লাগানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তবে তেল, সার, বীজ, সেচ, পারিশ্রমিকসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে চাষ খরচ। তারপরও একটু লাভের আশায় চাষাবাদ করছেন তারা। এ পেঁয়াজ বিক্রির সময় প্রতি মণ ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকার দাবি চাষিদের।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

jagonews24

রাজবাড়ীর ৫টি উপজেলায় কম-বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। এরমধ্যে পাংশা, কালুখালী ও বালিয়াকান্দিতে বেশি পেঁয়াজের আবাদ হয়। জেলায় কিং ও তাহেরপুরীসহ বেশ কয়েক জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়। চলতি বছর রাজবাড়ীতে হালি, মুড়াকাটা ও বীজসহ প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: দেশের ৫০০ কেজি রূপবান শিম যাচ্ছে ইতালি 

পেঁয়াজ চাষি সবুজ মন্ডল, রনি বিশ্বাস, আয়ুব আলী, সজিব খানসহ অনেকেই বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ থেকে শুরু করে ফলন ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হবে প্রায় ৩০-৪৫ হাজার টাকা। এক বিঘায় ভালো ফলন হলে ৪৫-৫০ মণ পেঁয়াজ হবে। যা মৌসুমে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকার বেশি দাম পাই না।’

বিজ্ঞাপন

তারা বলেন, ‘মৌসুমে প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার টাকা হলে ভালো হবে। তবে ন্যূনতম ১৫০০ টাকার নিচে দাম হলে খরচের টাকা উঠবে না। এ কারণে চাষিরা নিরুৎসাহিত হন। রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফসল ফলাই, কিন্তু টাকা আয় করেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।’

jagonews24

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সারাদেশের মধ্যে পেঁয়াজ উৎপাদনে রাজবাড়ী তৃতীয়। এ জেলায় প্রায় ৩৫-৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। এ বছর প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছি।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে পানিফলে লাভবান চাষিরা 

তিনি বলেন, ‘দেশের মোট চাহিদার প্রায় ১৬ শতাংশ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হবে। এ বিষয়ে আমরা কৃষকদের পরামর্শ, বীজ ও সার সহায়তা দিয়েছি।’

রুবেলুর রহমান/এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন