ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

অসময়ে তরমুজ চাষে আড়াই মাসে মিলবে ফলন

জেলা প্রতিনিধি | বরিশাল | প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২৩

তরমুজের মৌসুম শেষ হয়েছে আরও আগেই। তবে অসময়ে ভাসমান বেডে মাচা তৈরি করে ফলটি চাষে সাফল্যের দেখা পেয়েছে বরিশালের রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র। বিগত ২ বছর যাবৎ গবেষণা করে বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ চাষে সফল হয়েছেন তারা।

অল্প পরিসরে পানির ওপর ভাসমান বেডে বিষমুক্ত তরমুজ চাষ করে সফল হওয়ার পর কৃষকদের এ তরমুজ চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ করছেন তারা। বাণিজ্যিকভাকে এ জাতের তরমুজ চাষ হলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

jagonews24

রহমতপুর আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কচুরিপানায় ভরা পুকুর ও জলাশয়ে ভাসমান বেডে মাচা তৈরি করে অসময়ে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। মাচায় জাল দিয়ে মোড়ানো ব্যাগের ভেতরে ঝুলছে সবুজ-ডোরাকাটা রসালো তরমুজ।

আরও পড়ুন: সৌদি খেজুর চাষে সফল শিবগঞ্জের মোশাররফ 

কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এ তরমুজ চাষের উপযুক্ত সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস। মৌসুমি তরমুজের চেয়ে অসময়ে কচুরিপানা ও জলাশয়ের ওপর বেড দিয়ে মাচা তৈরি করে তরমুজ চাষে কোনো সার প্রয়োগ করতে হয় না। এ পদ্ধতিতে চাষ করলে তরমুজের রোগবালাই কম হয়। কম পরিশ্রমে বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।

https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/in-2-20230824123224.jpg

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বারি তরমুজ-১ ও বারি তরমুজ-২ এর পরীক্ষামূলক চাষে আমরা সফল হই। জমিতে চাষ না করে ভাসমান বেডে চাষ হওয়ায় চাষিদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা কৃষকদের মাঝে এ তরমুজ চাষ ছড়িয়ে দিতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছি।’

গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘মৌসুম ছাড়া অসময়ের এ তরমুজ চাষ উদ্ভাবনে আমরা সফল হয়েছি। বীজ বপনের আড়াই থেকে ৩ মাসের মধ্যেই এ তরমুজ বিক্রির উপযোগী হয়ে ওঠে। এ তরমুজ চাষে কোনো সার প্রয়োগ করতে হয় না। এ তরমুজ বিষমুক্ত হওয়ায় পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। অসময়ের এ নতুন জাতের তরমুজ চাষে চাষিরাও সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তারা ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন।’

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে টমেটো চাষ করে লাভবান উজ্জ্বল 

jagonews24

আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভাসমান কৃষি প্রকল্পের পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে আমরাই প্রথম ভাসমান বেডে অসময়ে বারি জাতের তরমুজ চাষ নিয়ে গবেষণা করেছি। ২ বছর গবেষণার পর পরীক্ষামূলক চাষের মাধ্যমে সফল হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে অনেক ডোবা-নালা আছে। যেখানে এ প্রযুক্তিতে তরমুজ চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হতে পারেন। রোপণের আড়াই থেকে ৩ মাসের মধ্যেই তরমুজ বিক্রি করা যায়। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত এ তরমুজ চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সভা-সেমিনারসহ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

শাওন খান/এসইউ/জিকেএস