ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

মিরসরাইয়ে টমেটো চাষ করে লাভবান উজ্জ্বল

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ০৯ আগস্ট ২০২৩

# গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষ করেছেন ১৪ জন কৃষক
# প্রতি কেজি টমেটো পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা
# দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। তাদের মধ্যে অন্যতম চাষি উজ্জ্বল মজুমদার। বাজারে যখন টমেটোর চড়া দাম; ঠিক তখনই টমেটো বিক্রি করছেন তিনি। শুধু উজ্জ্বল নন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আরও ১৩ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করেছেন।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটো বারি-৮ চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক উজ্জ্বলসহ ১৩ জন কৃষক। টমেটোর ফলন দেখে তারা খুশি। তাদের সফলতা দেখে স্থানীয় অনেক কৃষক গ্রীষ্মকালীন চমেটো চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

গত কয়েকদিন উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি বিক্রেতাদের কাছে টমেটো নেই। মিঠাছরা বাজারে আনোয়ার হোসেন নামে এক সবজি বিক্রেতা প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি করছেন ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা দরে।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শের বাজারমূল্য আড়াই কোটি টাকা

জানা গেছে, হাইব্রিড টমেটো বারি-৮ একটি উচ্চ তাপ সহিষ্ণু উচ্চফলনশীল গ্রীষ্মকালীন জাত। আকর্ষণীয় লালবর্ণ বিশিষ্ট এর ত্বক এবং শাঁস। ফল বেশ মাংসল। প্রতিটি গাছে গড়ে ৪০-৪৫টি ফল ধরে। প্রতি ফলের গড় ওজন ৬০-৬৫ গ্রাম। ফলের আকৃতি চ্যাপ্টা গোলাকার ধরনের।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের হাজ্বীশ্বরাই গ্রামের উজ্জ্বল মজুমদার গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। তিনি এখন ফলন বাজারে বিক্রি করছেন।

উজ্জ্বল মজুমদার বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিসের আগ্রহের কারণে ৫ শতক জমিতে হাইব্রিড টমেটো চাষ করেছি। জমি প্রস্তুত করে পলিথিনের ছাউনি, সার, ওষুধ ও পরিচর্যা বাবদ যে টাকা খরচ হয়েছে; তার মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার টাকা বহন করেছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। শুরু থেকে কৃষি অফিস সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দোআঁশ মাটি টমেটো চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। এরই মধ্যে স্থানীয় বাজারে পাইকারি ১৯০ টাকা করে ২০০ কেজি টমেটো বিক্রি করেছি। আশা করছি যদি বাজারে এই দাম থাকে, তাহলে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবো।’

আরও পড়ুন: বিশ্বে কত জাতের কাঁচা মরিচ জন্মে?

তিনি বলেন, ‘ভালো ফলন ও চারার স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য পলিথিন দিয়ে ছাউনি দিতে হবে। ছাউনির উচ্চতা মাঝখানে ৬ ফুট ও দুই পাশে ৪.৫ ফুট এবং দুটি ছাউনির মাঝে ৫০ সে.মি চওড়া নালা রাখতে হবে। যাতে ছাউনি থেকে নির্গত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনসহ অন্য পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘মিরসরাই গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ উপযোগী। ১৪ জন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করছেন। সবচেয়ে ভালো করেছেন উজ্জ্বল মজুমদার। অন্যরাও ভালো করেছেন। ১৪ জন কৃষকের মধ্যে প্রদর্শনী হিসেবে ২ জনকে চারা, মালচিং, সার, কীটনাশক দেওয়া হয়েছে। ১২ জনকে চারা ও মালচিং দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘উপজেলায় সব মিলিয়ে এক একর জমিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ বেশ লাভজনক। যে কারণে এ সময়ে টমেটো চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

এম মাঈন উদ্দিন/এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন