রাজবাড়ীতে বাদাম চাষ
ফলন কম হলেও দাম পেয়ে লাভবান চাষিরা
বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে আছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। গল্প, আড্ডায় মুখরোচক খাবার হিসেবে বাদাম বেশ জনপ্রিয়। কম খরচে লাভজনক একটি ফসল বাদাম। এ ফসল মূলত চর এলাকার হালকা বেলে ও দোআঁশ মাটিতে ভালো হয়। এবার অতিরিক্ত খড়ায় রাজবাড়ীতে বাদামের ফলন কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
রাজবাড়ী নদী তীরবর্তী একটি জেলা। ভৌগলিক কারণে এ জেলার ৫ উপজেলার বালিয়াকান্দি ছাড়া ৪ উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে কমবেশি বাদাম চাষ হয়। জেলায় বিনা ৪ ও ৮ জাতের বাদাম চাষ বেশি হয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ে মিয়াজাকি আমের কেজি ৯০০ টাকা
চরাঞ্চল থেকে বাদাম তুলে নদীর পাড়ে এনে কাঁচা বাদাম ছাড়ানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শুকানোর কাজ করছেন চাষিরা। বাদাম চাষে এবার প্রতি বিঘায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অতিরিক্ত খরায় সেচ কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বিঘায় ফলন হয়েছে ৪-৭ মণ। বাজারে প্রতি মণ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় প্রায় ১২শ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২শ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে রাজবাড়ী সদরে ১৭৫, পাংশায় ৪৫০, কালুখালীতে ২৬০ ও গোয়ালন্দে ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কলা চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের
বাদাম চাষি কুদ্দুস মন্ডল, আলতাব, দুলাল শেখ জানান, বাদাম চাষে ফলন ভালো হলে বিঘায় ১০-১২ মণ পর্যন্ত ফলন হয়। এবার অতিরিক্ত খরায় ফলন একটু কম হয়েছে। বিঘায় ৪-৮ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হলে আরও লাভবান হতেন। তবে কৃষি অধিদপ্তরের কোনো সহযোগিতা তারা পাননি বলে জানান।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বাদাম (রবি-১, ২ ও ৩) তিন মৌসুমে হয়। এক এলাকার বাদাম অন্য এলাকায় বীজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এবার অতিরিক্ত খরায় কিছু কিছু স্থানে ফলন একটু কম হয়েছে। তারপরও বাদাম চাষ বাড়াতে চাষিদের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। বাজারদর অনুযায়ী বাদাম লাভজনক ফসল।’
রুবেলুর রহমান/এসইউ/জিকেএস