ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

জয়পুরহাট থেকে প্রতিদিন ২৫ ট্রাক কলা যাচ্ছে সারাদেশে

জেলা প্রতিনিধি | জয়পুরহাট | প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০২৩

জয়পুরহাটে কলা চাষ করে অনেকেই ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। অনেক পরিবারই এখন শুধু কলা উৎপাদনের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন। ভালো উৎপাদনের কারণে এ জেলায় গড়ে উঠেছে বড় একটি কলার বাজার। জয়পুরহাটসহ পাশের জেলা নওগাঁ, বগুড়া ও দিনাজপুরের কিছু উপজেলা থেকেও কলা নিয়ে আসা হয় এ কলার বাজারে। যেখান থেকে প্রতিদিনই ২৫-৩০ ট্রাক কলা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

চাষি, ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের ৩০-৩৫টি জেলায় বিক্রি হচ্ছে জয়পুরহাটের এ কলা। দুর্গাদহের জামালগঞ্জ বাজারের মতো কলা বেচাকেনার বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। এসব বাজার থেকে কলা কিনে ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও নোয়াখালীসহ অন্তত ৩৫ জেলায় সরবরাহ করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটে এবার ৭৫০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ জমি থেকে প্রায় ৪০ হাজার টন কলা পাওয়া যাবে। সদর উপজেলার জামালগঞ্জ ও ভাদসায় কলার চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। জেলায় বর্তমানে ৩ হাজার ২০০ কলা চাষি আছেন। এরমধ্যে অনেকেই আয়-রোজগারের জন্য পুরোপুরি কলার ওপর নির্ভরশীল।

আরও পড়ুন: আমে ‘ফ্রুট ব্যাগিং’ করবেন যেভাবে

সদর উপজেলার মহুরুল গ্রামের কৃষক রোস্তম আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্য যে কোনো ফসলের চেয়ে কলায় লাভ বেশি। সাধারণত মার্চ-এপ্রিল কলা রোপণ করা হয়। আর ৯ মাস পরই ফলন পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে জাতভেদে ৩০০-৩৫০ কলার চারা রোপণ করা যায়। এতে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। কলা পাওয়া যায় অন্তত ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার।

সদর উপজেলার জামালগঞ্জ এলাকার মাতাপুর গ্রামের কলাচাষি ওয়াজেদ আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘কলা চাষে বা বিক্রিতে কোনো ঝামেলা নেই। পাইকাররা এসে জমি থেকে কলা কিনে নিয়ে যান।’

জামালগঞ্জ বাজারের কলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জয়পুরহাটে উৎপাদিত কলার চাহিদা বেশ ভালো। ঢাকাসহ কয়েকটি জেলায় আমরা এ কলা পাঠাই।’

সিলেট থেকে কলা কিনতে আসা ব্যবসায়ী ইমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা এখান থেকে কলা কিনে সিলেট, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করি। এখানকার কলা মোটামুটি ভালো হওয়ায় প্রতিদিনই কলা নিয়ে যাই।’

আরও পড়ুন: ফরিদপুরে লোকসানের মুখে চাষিরা

ভাদসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ কলা চাষ করে এখানকার অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমাদের এ বাজার থেকে প্রতিদিনই ২৫-৩০ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। ভবিষ্যতে বাজারটিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা আছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক রাহেলা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘জেলায় বিভিন্ন জাতের কলা চাষ হয়। কৃষকদের কলা চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়। এজন্য জেলার চাষিরা কলা চাষে উৎসাহিত হচ্ছেন।’

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন