লোগো পদ্ধতি ধান চাষে ফলন বাড়ে
‘লোগো’ পদ্ধতি ধান চাষের নতুন একটি প্রযুক্তি। এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কমে যায়, আগাছা দমন হয় ও সঠিকভাবে সার প্রয়োগ করতে সহজ হয়। পাশাপাশি ধানের ফলনও বাড়ে বলে জানিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।
লোগো পদ্ধতি কী?
ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে একটি সারি বাদ দেওয়া বা ফাঁকা রাখাই হলো লোগো পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রতি ১০ সারি পরে ১২-১৬ ইঞ্চি ফাঁকা রাখা উত্তম। ধানের চারা রোপণের সময় প্রতি ১০ সারির পরে একটি লাইনে ধানের চারা লাগানো বাদ রেখে অন্য লাইনে চারা লাগাতে হবে। এই পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ জমিতে ধানের চারা রোপণ শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বোরো চাষে সার প্রয়োগ করতে হবে সঠিক মাত্রায়
আরও পড়ুন: বোরো ধানের পরিচর্যায় কখন কোন সার, জানালো কৃষি তথ্য সার্ভিস
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা: আম-লিচু-কাঁঠাল রক্ষায় যা করবেন
লোগো পদ্ধতির সুবিধা
১. বাদামি ঘাসফড়িং ও মাজরা পোকা ধান গাছে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে। ছায়াযুক্ত স্থানে সাধারণত এ ধরনের পোকার আক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। লোগো পদ্ধতিতে ধান চাষ করলে ধান গাছ পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস পাওয়ায় পোকার আক্রমণ কমে যায়, বিশেষ করে বাদামি ঘাসফড়িংয়ের আক্রমণ কমে যায়।
২. জমিতে এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে আগাছা দমন, সঠিকভাবে সার প্রয়োগসহ ইত্যাদি পরিচর্যা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এছাড়া আগাছা পরিষ্কারের সময় লোগোর লাইনে বা সারিতে তা পুঁতে রাখলে ভালো জৈব সার হয়।
৩. এই ধরনের জমিতে ইঁদুরের আক্রমণ কম হয়ে থাকে।
৪. সঠিকভাবে চাষ করলে বিঘা প্রতি ফলন চার থেকে পাঁচ মণ বাড়তে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ উপজেলা কৃষি কার্যালয় বা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া সরকারি কৃষি কল সেন্টার (১৬১২৩) নম্বরে ফোন করে তথ্য জানার জন্য পরামর্শ দিয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস।
এনএইচ/আরএডি/এএসএম