ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

মিরসরাইয়ে আখ চাষ, দেড় কোটি টাকা বিক্রির আশা

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ১৩ অক্টোবর ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বেড়েছে আখ চাষ। উর্বর মাটি ও উপযুক্ত পরিবেশের কারণে কৃষকরা ঝুঁকছেন আখ চাষে। উপজেলার দুর্গাপুর ও জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আখ চাষ হয়েছে। এ ছাড়া খৈইয়াছড়া, ওয়াহেদপুর, হিঙ্গুলী ইউনিয়নেও আখ চাষ হয়েছে।উপজেলায় ২০৮ ও চায়না জাতের আখ বেশি চাষ হয়েছে। আখ রোপণ করার পর বিক্রির উপযোগী হতে প্রায় এক বছর সময় লাগে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মিরসরাইয়ে ১৩ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২৫ হাজার পিস আখ উৎপাদন হয়। প্রতিটি আখ কৃষকরা পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি করেন। প্রতিপিস ৫০ টাকা ধরে যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্থানীয় বাজারগুলোয় ব্যবসায়ীরা কৃষকদের থেকে আখ কিনে প্রতিপিস ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করেন।

jagonews24

উপজেলায় এবার আখের ভালো ফলন হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বেড়েছে আখের চাহিদা। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। এখানকার উৎপাদিত আখ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে উৎপাদিত আখের চাইতে স্বাদ ও গুণগত মানে অনন্য। ফলে পাইকাররা আখ কিনে পাশের উপজেলায়ও নিয়ে যান বিক্রির জন্য।

মিরসরাই পৌর বাজার, বারইয়ারহাট পৌর বাজার, মিঠাছরা বাজার, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, নিজামপুর বাজার, জোরারগঞ্জ বাজার, করেরহাট, আবুরহাট, শান্তিরহাট বাজারে মিরসরাইয়ে উৎপাদিত আখ বিক্রি হয় বেশি। বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে আখ কিনে মিনি ট্রাকে নিয়ে যান বিক্রির জন্য।

jagonews24

মিঠাছরা বাজারের আখ বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এবার ৩০ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। খুচরা বাজারে বড় সাইজের আখ ৭০-৮০ টাকা ও মাঝারি সাইজের আখ ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বাজারে দেশি আখের চেয়ে লাল আখের চাহিদা অনেক বেশি।’

দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এ বছর ১৫ শতক জমিতে আখ চাষ করেছি। যেখানে প্রায় ১৮শ পিস আখ উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পাইকারিতে ৭০ হাজার টাকায় পুরো ক্ষেত বিক্রি করেছি। আখ চাষ করে ভালো লাভ হয়েছে।’

উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার এক হেক্টর বেড়েছে। ২০৮ চায়না লাল হাইব্রিড আখই এবার বেশি চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।’

এসইউ/জিকেএস

আরও পড়ুন