মাল্টা গাছের ক্ষতিকর দুই পোকা দমনের উপায়
আমাদের দেশে এখন মল্টা চাষ বেশ জনপ্রিয়। এটি দেশের অনেক জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। তবে বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে মাল্টার তেমন ভালো ফলন হয় না। এর মধ্যে মাল্টা গাছের পাতা সুড়ঙ্গকারী ও সাইলিড পোকা। তাই মাল্টা গাছের পাতা সুড়ঙ্গকারী ও সাইলিড পোকা দমনের কৌশল মাল্টা চাষিদের জেনে রাখা উচিৎ।
প্রথমে জেনে নিন পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকার আক্রমণ ও দমন করার উপায়। পাতা সুড়ঙ্গকারী পোকা ছোট অবস্থায় (কীড়া) মাল্টা পাতায় আক্রমণ করে। এরা রাতের বেলা গাছের কচি পাতায় গর্ত খুঁড়ে আঁকাবাঁকা দাগের সৃষ্টি করে। আক্রান্ত পাতা কুঁকড়ে যায়।
শীতের সময় বিশেষ করে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আক্রান্ত পাতা ছাঁটাই করে পুড়িয়ে দিতে হয়। প্রতি লিটার পানিতে ১২০ মিলিলিটার নিমের খৈলের নির্যাস বা নিম তেল মিশ্রিত করে আক্রান্ত গাছে ভালোভাবে পাতা ভিজিয়ে স্প্রে করে এই পোকা দমন করা যায় । ১০-২০লিটার পানিতে ১ কেজি নিমের খৈল মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর স্প্রে করলে এ পোকা দমন হয়।
তামাক নির্যাস ও সাবান গোলা পানি স্প্রে করে দিলেও এ পোকা দমন হয়। আক্রমণ বেশি হলে এ পোকা দমনের জন্য কারটাপ গ্রুপের কীটনাশক যেমন, ইটাপ ৫০ এসপি ১.২০ গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এবার জানা যাক সাইলিড পোকা দমণের উপায় সম্পর্কে।
ক্ষতির ধরন: পোকার বাচ্চা মাল্টা গাছের পাতা, পাতার বোঁটা, কচি ডগা এবং ফলের রস চুষে খায়। এতে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে। রস চোষার সময় এরা গাছের রসের মধ্যে গ্রিনিং রোগের ভাইরাস ছড়ায়। সেই সঙ্গে মিষ্টি আঁঠালো পদার্থ নির্গত করে।
প্রতিকার হিসেবে পোকাসহ আক্রান্ত পাতা বা ডাল অপসারণ করতে হবে। মে মাস থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত প্রতি মাসে একবার ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের কীটনাশক যেমন, অ্যাডমায়ার বা ফেনিট্রথিয়ন জাতীয় কীটনাশক সুমিথিয়ন ২ মিলিলিটার অথবা লিটার পানিতে মিশিয়ে মাল্টা গাছে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে। তাহলে ডিম ও পোকা থাকলে ধ্বংস হবে।
এমএমএফ/এএসএম