বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের বাম্পার ফলন
বাগেরহাটে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে উচ্চ ফলনশীল ও জিংক সমৃদ্ধ এই ধান চাষাবাদে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, জেলায় এই ধানের বীজ ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু হয়েছে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবন উচ্চ ফলনশীল জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান। সরকারি সহায়তায় এবছর প্রথমবারের মতো বাগেরহাটে বাণিজ্যিকভাবে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
চাষিদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে সার ও বীজ। স্বল্প খরচে উচ্চ ফলনশীল এই জাতের ধান চাষে সময় লাগে অল্প। এই ধানের জীবনকাল ১৪৫ থেকে ১৪৮ দিন। হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন। ভালো ফলন দেখে এই জাতের ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। আগামী বছর এই জাতের ধানের চাষ জেলায় ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়বে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার পাঁচলী গ্রামের কৃষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘বঙ্গবন্ধু ধান আমরা প্রথম চাষ করেছি। ধানের মান খুব ভালো, পোকামাকড়ও কম আছে, চিটাও কম হয়েছে। ধানের ফলন দেখে এলকার চাষিরা এই ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
একই এলাকার কৃষক মহাসিন শেখ জানান, পাশের ক্ষেতে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধানের ফলন দেখে তিনিও আগ্রহী হয়েছেন। আগামী বছর তিনি এই ধানের চাষ করবেন।
কৃষক মিজান মল্লিক জানান, এই ধানে জিংক আছে বলে তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের কাছে শুনেছেন। আর ফলন দেখে এই জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন তিনি।
বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা জানান, বাণিজ্যিকভাবে এই ধান উৎপাদনে প্রথম থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এবছর ফলন খুবই ভালো হয়েছে। বীজ সংগ্রহ করে এটি উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, হাইব্রিড জাতের ধানের উৎপাদন খরচ বেশি হলেও বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান উফসি জাতের হওয়ায় উৎপাদন খরচ ও সময় কম লাগে বলে এই ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আগামীতে জেলার সর্বস্তরের কৃষকদের মাঝে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ধান ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
বাগেরহাটের ৫টি উপজেলার মোট ১ হেক্টর জমিতে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের চাষ করা হয়েছে।
এমএমএফ/এমএস