বিদেশ থেকে ফিরে মুরগির খামারে সফল মাহাবুবুর
দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়ে স্বল্প পুঁজিতে শ্রম ও নিষ্ঠার কারণে মুরগির খামার দিয়েই জীবনে সুদিন ফিরে এসেছে যশোরের শার্শা উপজেলার সুর্বণখালী গ্রামের মাহাবুবুর রহমানের।
দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া কাটানোর পর ২০১৯ সালের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়েন মাহাবুবুর রহমান। হতাশায় না ভুগে ইউটিউবের ভিডিওতে দেশের বিভিন্ন স্থানে লেয়ার মুরগির খামার দেখে এবং সে নিজেও লেয়ার মুরগির খামার করতে আগ্রহী হন। এরপর শুরু করেন লেয়ার মুরগি পালন।
মাহাবুবুর রহমান তার নিজ বাড়িতে প্রথমে একটি মুরগির শেড তৈরি করে এক হাজার লেয়ার মুরগি পালন শুরু করেন। এরপর তার আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার দুইটি ভালোমানের মুরগির শেড এবং ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ২৫০০ মুরগি রয়েছে। এখন তার ২৫০০ মুরগি থেকে দৈনিক ২০০৩ ডিম পাচ্ছেন।
খামারের লেয়ার মুরগি পালনের ব্যাপারে মাহাবুবুর রহমান জানান, বহুদিনের প্রবল ইচ্ছা ও মনোবল থাকায় আমি আমার নিজ জমিতে মুরগি পালন শুরু করি। এখন মুরগি পালনে আমি স্বাবলম্বী হয়েছি।
বর্তমানে আমার দুইটি মুরগির শেড রয়েছে। মুরগির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এখন খামারে মুরগি ধারণে সমস্যা হচ্ছে, আমি আরও দুইটি মুরগির শেড তৈরি করেছি। সেখানেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ১৫০০ লেয়ার মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসবো। বর্তমানে প্রতিমাসে সেখান থেকে প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা উপার্জন করা সম্ভব এবং সামনে আরও মুরগির সংখ্যা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে খামারটি বড় করার ইচ্ছা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই আমি এপর্যন্ত এসেছি। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে আমার খামারটি আরও বড় করতে চাই। এবিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এলডিডিপি) ডা. রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খামারি মাহাবুবুর রহমান আমাদের কাছে আসেননি। এসব খামারিদের আমরা সবসময় সার্বিক সহযোগিতা করি। তিনি আমাদের কাছে এলে তাকে আমরা ওষুধসহ অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা করব।
মো. জামাল হোসেন/এমএমএফ/জিকেএস