ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

কালীগঞ্জে সরিষার ফলনে খুশি কৃষক

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) | প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

গাজীপুরের কালীগঞ্জে রবি মৌসুমে এবার সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মাঠে যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় সরিষা ফুলের হলুদ রঙে ছেয়ে আছে। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দেখার জন্য স্থানীয় মানুষ ছুটে আসছে কৃষকের সরিষার মাঠে।

তবে গত বছরের তুলনায় এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় সরিষার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সরিষার বাম্পার ফলনে ভালো দাম পাওয়ার আশায় কৃষক। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে আগামীতে ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। সরিষা চাষে আগ্রহী কৃষকদের দেওয়া হবে সব ধরণের সহযোগিতা।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই কম-বেশি সরিষার চাষ হয়। তবে উপজেলার জামালপুর, মোক্তারপুর ইউনিয়ন ও কালীগঞ্জ পৌরসভায় সরিষার চাষ একটু বেশি হয়ে থাকে। আগে এ উপজেলায় টুরি-সেভেন বেশি চাষ করলেও এখন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক উদ্ভাবিত বারি সরিষা-১৪, ১৭ ও ১৮ জাতের সরিষা বেশি চাষ করছে।

jagonews24

সরিষা চাষে মাত্র ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে তা ঘরে তোলা যায় এবং ফলনও পাওয়া যায় ভালো। গত বছর ৯০ হেক্টর জমিতে ১২৬ মেট্রিকটন সরিষার আবাদ হয়েছে। চলতি বছরে ১০০ হেক্টর জমিতে ১৪২ মেট্রিকটন সরিষা আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এই লক্ষ্যমাত্রা দিন দিন অতিক্রম করবে।

সূত্র আরও জানায়, স্থানীয় কৃষকরা সরিষাকে বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে চাষাবাদ করে থাকেন। এ ফসল বিক্রি করে যে টাকা পায়, ওই টাকা দিয়ে আবার বোরো মৌসুমে ধান রোপণ করেন তারা। তাছাড়া সরিষা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। আর সরিষা চাষ করলে বোরো রোপণের সময় আলাদাভাবে ওই জমিতে আর সার দিতে হয় না। সরিষা বিক্রি করে টাকাও পাওয়া যায়, আবার তেলের চাহিদাও মেটাতে পারা যায়।

তুমলিয়া ইউনিয়নের পিপরাশুর গ্রামের কৃষক আগষ্টিক রোজারিও জানান, তিনি গত বছর দেড় বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছিলেন। ওই বছর ফলন যেমন বেশি ছিল তেমনি দামও পেয়েছেন ভালো। একারণে চলতি বছরে ২ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। এবছরও ফলন ভালো হবে এবং দাম বেশি পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি।

jagonews24

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার দুর্বাটি গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিম জানান, গত বছর তার ৯ বিঘা কৃষি জমি পতিত ছিল। কিন্তু এবছর তিনি স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ওই জমিতে সরিষার বারি-১৭ জাত আবাদ করেছেন। তবে ফলন ভালো হওয়ায় তিনি আশা করছেন ভালো দাম পাবেন।

উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি এর আগে কখনো সরিষার চাষ করেননি। তবে এবার স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ৫ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় আগামী বছরও সরিষার চাষ করতে আগ্রহী ওই কৃষক।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে তেল জাতীয় ফসল বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় প্যাটার্ন ভিত্তিক কৃষকদের সহায়তা করার কারণেই, এ উপজেলায় রবি মৌসুমে সরিষার ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে রবি মৌসুমে সরিষা চাষে আগ্রহী কৃষকদেরকে স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বিনা মূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। সরিষা চাষে আগ্রহী নতুন কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলেও জানান ওই কৃষি কর্মকর্তা।

আব্দুর রহমান আরমান/এমএমএফ/জিকেএস

আরও পড়ুন