প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে কায়েদ পল্লির কাশফুল
শুভ্রতার বার্তা নিয়ে আসে শরৎ। চারদিকে চোখ ধাঁধানো কাশফুলের সমাহার। নজরকাড়া কাশফুলের হাতছানিতে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরা।
এই সময়ে পথে-প্রান্তরে দেখা মেলে কাশফুলের। শরতের সৌন্দর্যের উপমায় থাকে সাদা রঙের মুগ্ধতা ছড়ানো কাশফুল। এরকম দৃশ্য চোখে পড়ে ঝালকাঠি শহরতলীর কির্ত্তীপাশা সংযোগ সড়কে আরামনগর এলাকার কায়েদ পল্লিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশ ফুলের মাঠে ছেলে-মেয়েরা মেতে উঠেছে আনন্দ উচ্ছ্বাসে। নির্মল বাতাসে সাদা কাশফুলের মন মাতানো দোল খাওয়া শীষ দেখতে তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ বিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কাশবনে। কাশ ফুলের শুভ্রতার সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি ভ্রমণ ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের স্বাক্ষী হতে নিজেদের ধরে রাখছেন ছবির ফ্রেমে।
দর্শনার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘গোধূলির সময় মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ ও সাদা কাশফুল যখন বাতাসে দুলতে থাকে তখন মনটা আনন্দে ভরে যায়।’
ভ্রমণপ্রিয় সুজন পারভেজ ও সজিব বলেন, ‘মহামারী করোনায় আমাদের সময় কেমন যেন থমকে গেছে। কিন্তু প্রকৃতি তো আর থেমে নেই। প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে। তাই আমরাও ছুটে এসেছি এখানে।’
গৃহিনী আঁখি আক্তার বলেন, ‘কাশফুলের সমারোহে বিকেলের বাতাস যেন শীতের আগমনের বার্তা দিচ্ছে। শৈশবের স্মৃতিগুলোকেও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই অপরূপ সৌন্দর্যের কাছে থাকতে পেরে খুবই ভালো লাগছে।’
স্থানীয় আলোকচিত্রী লিমন বলেন, ‘সাদা কাশফুল ও সবুজের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এখানে ছবি তুলতে এসে কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য্য দেখে মনটা ভরে গেছে।
পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, দীর্ঘদিন করোনার কারণে মানুষ ঘরে থেকে বাহিরে বের হতে পারেনি। করোনার প্রকোপ কমতে থাকায় মানুষ ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছে। কাশফুল প্রকৃতির সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়।
আতিকুর রহমান/এমএমএফ/জিকেএস