ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

যে কারণে আমে ঝুঁকছেন ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা

জেলা প্রতিনিধি | ঠাকুরগাঁও | প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ০৫ মার্চ ২০২১

ধান, গমসহ অন্যান্য ফসলে বারবার লোকসান হওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে আমের বাগানের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বিশেষ করে, রূপালি জাতের আম্রপালি আমের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা ওই জাতের বাগান স্থাপনে ঝুঁকে পড়েছেন।

জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গত ৫ বছরে এখানে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ আমের বাগান স্থাপন করা হয়েছে। এই আম বাগান করে কৃষকেরা অন্যান্য ফসল থেকে বেশি মুনাফা অর্জন করছেন বলে জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলার মাটি তুলনামুলক উচুঁ। কয়েক যুগ ধরে এ মাটিতে ধান, গম, পাট, আলুসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে আসছেন এ জেলার প্রান্তিক চাষিরা। কিন্তু ওইসব ফসল উৎপাদন করে নায্যমূল্য না পেয়ে চাষিরা প্রতি বছর লোকসান গুণে আসছেন।

এ কারণে চাষিরা খাদ্যশষ্য উৎপাদন থেকে সরে আসতে থাকে। সেক্ষেত্রে চাষিরা লোকসানের হাত থেকে রক্ষায় জমিতে আম বাগান স্থাপন শুরু করে। ফল বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা লাভবান হওয়ায় চাষিরা দিনদিন আমের বাগান স্থাপনে ঝুঁকে পড়ছেন।

jagonews24

আমের বাগান হতে বিষমুক্ত আম ও সাথী ফসল হিসেবে বিভিন্ন ফসল পাওয়ায় কৃষকেরা দু’দিক দিয়ে লাভবান হয়ে আসছেন।

যাদের নিজস্ব জমি জমা নেই, তারাও অন্যের জমি ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে সেখানে আম্রপালি জাতের রূপালি আমের চাষ করে আসছেন।

পীরগঞ্জ উপজেলার মিজানুর, সাদেকুল ও হাসিবুল জানান, এক বিঘা জমিতে আম্রপালি জাতের গাছ লাগানো যায় কমপক্ষে ১৬০টি। ৩ বছরের মাথায় প্রতিটি গাছ থেকে এক কেরেট (২০ কেজি) আম পাওয়ায় যায়। প্রতি কেজি ৫০ টাকা হারে এক কেরেটের দাম ১ হাজার টাকা।

সে হিসেবে একবিঘা জমিতে প্রাপ্ত আম বিক্রি হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর প্রথম বছর যে আম পাওয়া যায় পরের বছর পাওয়া যায় তার দ্বিগুণ। এভাবে প্রতি বছর আম ও লাভের পরিমাণ বাড়তে থাকে ৯ বছর পর্যন্ত। পরবর্তীতে টপ অরকিং করা হলে আমের ফলন আবারও বাড়ানো।

jagonews24

এ ছাড়াও আম্রপালির আম গাছ বেশি বড় না হওয়ায় গাছের মাঝামাঝি ফাঁকা জায়গায় ধান গম পাট, আলু, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল সাথী ফসল হিসেবে চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। সেই সাথে ফল মৌসুমে নিজেরাও বিষমুক্ত মিষ্টি আম ভোগ করতে পারেন এবং বিভিন্ন বন্ধু –বান্ধব ও আত্বীয় স্বজনকে মৌসুম শেষে আম দিতে পারলে তারা বেশ খুশি হয়।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, জেলার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ছোট-বড় ১৫ শতটি বিভিন্ন জাতের আমের বাগান রয়েছে। এ জেলার কৃষকরা ধান, গম, পাট আবাদের পাশাপাশি আম বাগান করে বেশি লাভবান হচ্ছেন। ফলে দিনদিন আমের বাগানের দিকে ঝুঁকছেন বলে তিনি জানান।

তানভীর হাসান তানু/এমএমএফ/এমএস

আরও পড়ুন