ছাদ বাগানের যত্ন নেবেন যেভাবে
এখন শুধু শহরের বাসিন্দারাই নন, গ্রামের অনেক মানুষও ছাদ বাগান করছেন। অনেকেই বাড়ির ছাদে পরিকল্পিতভাবে বাগান করে পরিবারের চাহিদা পূরণ করছেন। তবে ছাদ বাগান থেকে ভালো ফসল পেতে হলে বেশকিছু বিষয় আগে জানতে হবে।
মনে রাখতে হবে ছাদে বাগান করা আর মাটিতে বাগান এক বিষয় নয়। আগে জানা দরকার, ছাদের উপযোগী গাছ কোনগুলো। গাছের প্রজাতির ওপর নির্ভর করে গাছটি ছাদবাগানের জন্য হাফ ড্রাম, টব নাকি চৌবাচ্চা কাঠামো করে লাগানো হবে। খোলামেলা ছাদ থাকলে ভালো। স্থায়ী বাগান করার জন্য ছাদে সিমেন্টের টব তৈরি করে নেয়া যেতে পারে। সিমেন্টের টব কিনতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে ভালো লোহার হাফ ব্যারেল হলে।
ব্যারেলের দুই পাশে হাতল থাকলে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে সরানো যাবে। টবের নিচে ছিদ্র থাকা জরুরি। তিন ভাগ মাটি, দুই ভাগ গোবর সার আর এক ভাগ পাতা পচা সার দিয়ে মিশ্রণ করে টব পূর্ণ করুন। টবে ফুল, ফল, সবজির চাষ করা যেতে পারে।
খেয়াল রাখতে হবে ছাদে বাগানের গাছটি যেন বড় আকারের না হয়। ছোট আকারের গাছ লাগাতে হবে এবং ছোট আকারের গাছে যেন বেশি ফল ধরে সে জন্য হাইব্রিড জাতের ফলজ গাছ লাগানো ভালো। জেনে, বুঝে, বিশ্বস্ত নার্সারি থেকে গাছ সংগ্রহ করতে হবে। বেঁটে প্রজাতির অতিদ্রুত বর্ধনশীল ও ফল প্রদানকারী গাছই ছাদবাগানের জন্য ভালো। বীজের চারা নয়, কলমের চারা লাগালে অতিদ্রুত ফল পাওয়া যায়।
নার্সারিতে বিভিন্ন ফলের গুটিকলম, চোখ কলম ও জোড় কলম পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হয়। সঠিক মানের চারা হলে এক বছরের মধ্যেই ফল আসে। বিদেশ থেকে উন্নতমানের কিছু চারা কলম দেশে আসছে। ছাদবাগানের সাধ পূরণ করার জন্য এসব সংগ্রহ করে লাগাতে পারেন।
সকাল-বিকেল গাছে পানি দিতে হবে। গাছের গোড়ায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। লম্বা গাছকে ছোট গাছের সামনে রাখতে হবে। টবে বা ফ্রেমে খৈল দেয়া যাবে না, এতে পিঁপড়ার উপদ্রব বাড়তে পারে।
বছরে একবার নতুন মাটি দিয়ে পুরোনো মাটি বদলিয়ে দিতে হবে। ছাদে বাগানের জন্য মিশ্র সার, গুটি ইউরিয়া, খৈল, হাড়ের গুঁড়ো (পচিয়ে) ব্যবহার করা ভালো। সর্বোপরি ছাদ বাগানে যত্নের পাশাপাশি সচেতন দৃষ্টি দেয়া জরুরি।
এমএমএফ/এএসএম