ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর রাঙ্গাবালী

জেলা প্রতিনিধি | পটুয়াখালী | প্রকাশিত: ১১:১১ এএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শীতপ্রধান দেশ থেকে রাঙ্গাবালীতে এসেছে রং-বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই আকর্ষণীয় তাদের খুনসুটি। শুধু শীত এলেই দেখা মিলে এদের। সোনার চর ও জাহাজ মারা সমুদ্র সৈকতে এখন পাখির নীড়ে পরিণত হয়েছে।

ভোর হলেই সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলে পাখির মেলা। কখনো জলে ডুব-সাঁতার দিয়ে কখনো ঝাঁক বেঁধে মুক্ত আকাশের নীলে উড়ে বেড়ানো। গোধূলি লগ্নে সোনালি রঙ ছড়ালে শুরু হয় পাখিদের মিছিল। কিচির-মিচির ছন্দের তালে সারি সারি দল বেঁধে ফিরে যায় অস্থায়ী নীড়ে।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনার চর ও জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতে বসেছে হাজার হাজার পাখির মেলা। দূর থেকে অতিথি পাখিদের কলতান আর খুনসুটি দেখলে যে কোনো প্রকৃতিপ্রেমী মন আনন্দে নেচে উঠবে। শীত মৌসুমের কারণে অতিথি পাখিদের আবাসস্থল হয়ে উঠেছে রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন চর এলাকা।

jagonews24

সোনার চর ও জাহাজমারা সমুদ্র সৈকতে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য যেন মুগ্ধ করে দেয় দর্শনার্থীদের। দূর থেকে ভেসে আসে পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ।

অতিথি পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। আর এ সৌন্দর্য দেখতে ছুটে আসছেন পর্যটকরা বহু দূর-দূরান্ত থেকে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকদের উপস্থিতি কিছুটা কম।

সোনার চর ঘুরতে আসা আ.খ.ম রাকিব হোসাইন বলেন, আমি মনে করি সোনার চরের প্রধান সৌন্দর্য হচ্ছে অতিথি পাখি। যারা এ দৃশ্য দেখেনি তারা এর আকর্ষণ বুঝতে পারেবে না। বরিশাল থেকে সোনার চরে আসতে কষ্ট হয়েছে আমার। কিন্তু যখন সৈকতে এসে দল বেঁধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য ও পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে পেলাম তখন যেন আমি সব কষ্ট ভুলে গিয়ে আনন্দ ভুবনে চলে গেলাম।

স্থানীয়রা জানায়, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা সোনার চর, জাহাজমারা, চরআন্ডা, তুফানিয়ার চর, কলাগাছিয়া চরসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের বিচরণ। মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা ও পাখিদের কলকাকলীতে মুখর থাকে চরগুলো। অতিথি পাখিদের সাথে যোগ দিয়েছে দেশীয় শালিক, চড়ুই, ডাহুক, পানকৌড়ি, বক, বালিহাঁসসহ নাম অজানা হাজারো প্রজাতির পাখি।

jagonews24

এ ব্যাপারে সোনার চরের বিট কর্মকর্তা মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, শীতের শুরুতে পাখিদের আগমন শুরু হয় এখানে। শীতপ্রধান দেশ থেকে রাঙ্গাবালীর বিভিন্ন চরে অতিথি পাখিদের দেখা যায়। পাখি শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

কেউ এ অপরাধ করলে বন্য প্রাণী সুরক্ষা আইনে তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে হবে। পাখি যাতে শিকার না করতে পারে সেজন্য টহল জোরদার করা হয়েছে। অক্টোরের শেষ ও নভেম্বরের প্রথম দিকে রাঙাবালীতে অতিথি পাখি দেখা যায়। মার্চের শেষদিকে ওরা ফিরে যায় নিজ নিজ গন্তব্যে।

এমএমএফ/এমকেএইচ