ঝিঙে চাষের জন্য কোন মাটি বেশি ভালো?
ঝিঙে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সবজি। তরকারি বা ভাজি হিসেবে এটি খুবই সুস্বাদু। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই ঝিঙে চাষ হয়। বাড়ির আঙিনায় বা আশেপাশে ঝিঙে চাষ করে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে চাষের জন্য দরকার উপযুক্ত মাটি।
কৃষিবিদরা জানান, দীর্ঘ সময় উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া, প্রচুর সূর্যের আলো থাকে এমন জায়গা ঝিঙে চাষের জন্য উত্তম। এছাড়া সুনিষ্কাশিত উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটি ঝিঙে চাষের জন্য উপযুক্ত। এতে হেক্টর প্রতি ১০-১৫ টন ফলন হতে পারে।
> আরও পড়ুন- জেনে নিন মিষ্টি কুমড়ার বীজ সংরক্ষণের উপায়
তাই ঝিঙে চাষে সেচ ও নিকাশের উত্তম সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। একই গাছের শেকড় বাড়ার জন্য জমি এবং গর্ত ভালোভাবে তৈরি করতে হয়। এ জন্য জমিকে প্রথমে ভালোভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যেন কোন বড় ঢিলা ও আগাছা না থাকে।
জমিতে বেডের উচ্চতা হবে ১৫-২০ সেন্টিমিটার। বেডের প্রস্থ হবে ১.২ মিটার এবং লম্বা জমির দৈর্ঘ অনুসারে সুবিধামত নিতে হবে। এভাবে পরপর বেড তৈরি করতে হবে। এভাবে পাশাপাশি দু’টি বেডের মাঝখানে ৬০ সেন্টিমিটার ব্যাসের সেচ ও নিকাশ নালা থাকবে। ফসল পরিচর্যার সুবিধার্থে প্রতি দু’ বেড পরপর ৩০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত নালা থাকতে হবে।
> আরও পড়ুন- মিষ্টি কুমড়া চাষ করবেন যেভাবে
মাটিতে মাদার আকারে ৫০ সেন্টিমিটার করে ব্যাস, গভীরতা ও তলদেশ রাখতে হবে। ৬০ সেন্টিমিটার প্রশস্ত সেচ ও নিকাশ নালা সংলগ্ন উভয় বেডের কিনারা থেকে ৬০ সেন্টিমিটার বাদ দিয়ে মাদার কেন্দ্র ধরে ২ মিটার পরপর এক সারিতে মাদা তৈরি করতে হবে। প্রতি বেডে এক সারিতে ১৬-১৭ দিন বয়সের চারা লাগাতে হবে।
এ প্রক্রিয়ায় ঝিঙের ভালো জাত উর্বর মাটিতে ভালোভাবে চাষ করতে পারলে হেক্টর প্রতি ১০-১৫ টন (শতাংশ প্রতি ৪০-৬০ কেজি) ফলন পাওয়া সম্ভব।
এসইউ/এমকেএইচ