বৈশাখের আনন্দ নেই বোরো চাষিদের মনে
দু’দিন পরই পহেলা বৈশাখ। সবাই যখন বৈশাখের আনন্দে মাতোয়ারা; তখন সুনামগঞ্জের কৃষকের মধ্যে রয়েছে আশঙ্কা। কারণ লাগাতার বৃষ্টির আশঙ্কায় পাকা ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এ বছর সুনামগঞ্জে বোরো আবাদ হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ হেক্টর। এবারের লক্ষমাত্রা ছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৩৫ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে আবাদের পরিমাণ বেশি হওয়ায় উৎপাদন ৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৯ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন হতে পারে। তবে আগামী ১৭ এপ্রিল থেকে লাগাতার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পাকা ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
হাওরের কৃষক জয়নাল সরকার বলেন, ‘আমাদের কোন বৈশাখ আনন্দ নাই। যদি উপরঅলা চাইয়া থাকুইন, তাইলে ধান ঘরে তুলতান। নাইলে এইবার সব ধান পানিতে দিয়ে দিতাম। ধান কিছু পাকলেও বেশিরভাগ ধান কাচাই রয়ে গিয়েছে।’
কৃষক আমির মিয়া বলেন, ‘টাকা ঋণ করিয়া ধান লাগাইছি। কিন্তু এখনো ধান ভালা করি পাকছে না। কিলান ধান তুলতাম, এটাই চিন্তা কররাম। এরমধ্যে কৃষি অফিস থকি মানুষে আইয়া কইছে ১৭ তারিখের আগে ধান কাটতাম। কিন্তু ধান যদি না পাকে তাই কাটমু ক্যামনে।’
> আরও পড়ুন- নওগাঁয় আম বাগানে পোকার আক্রমণ
হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘এখনো হাওরের ধান সম্পূর্ণ পাকেনি। এতো তাড়াতাড়ি ধান কেটে নিতে প্রয়োজন শ্রমিক। কিন্তু আমরা শ্রমিক সংকটে রয়েছি।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বশির আহম্মদ সরকার বলেন, ‘আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি পেকে যাওয়া ধান কেটে নেওয়ার। আমাদের কাছে খবর আছে, ১৭ এপ্রিলের পর থেকে মাসব্যাপি লাগাতার বৃষ্টি হবে। সরকারিভাবে ১২-১৩ এপ্রিল থেকে ধান কাটা শুরু করবো।’
মোসাইদ রাহাত/এসইউ/এমকেএইচ