ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

বৃক্ষ নিধন-পাথর উত্তোলনে পাহাড়ে ভূমিক্ষয় বেড়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৮

বান্দরবানের রুমা, থানচি এবং আলিকদমসহ বিভিন্ন পাহাড়ে ব্যাপকহারে বৃক্ষ নিধন চলছে। জীববৈচিত্র্যের আধার পাহাড়ের প্রাচীন ও বৃহৎ বৃক্ষ কেটে ফেলা হচ্ছে। সেই সাথে পাহাড়ের ঝিরি (জলধারা) থেকে বেপরোয়াভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে। বৃক্ষ নিধন এবং পাথর উত্তোলনের ফলে ভূমিক্ষয় এবং ভূমিধস বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পাহাড়ে পানিশূন্যতা দেখা দেবে, জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) ও ‘সেভ দ্যা হিল এন্ড ফরেস্ট’ এর উদ্যোগে মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বান্দরবানে পাহাড়ি ইকোসিস্টেম ধ্বংসযজ্ঞ চলছে-বান্দরবনে পাথর উত্তোলন ও বৃক্ষ নিধন বন্ধ কর’ দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বৃক্ষ নিধন ও পাথর উত্তোলন বেপরোয়াভাবে চলতে থাকলে পাহাড়ি ইকোসিস্টেম মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে, আদিবাসীরা এলাকা ছাড়া হবে। সর্বোপরি দ্রুত পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিবে। তাই অবিলম্বে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকা থেকে বৃক্ষ নিধন ও ঝিরি (জলাধার) থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

Stone-Lift

বক্তারা আরও বলেন, বিগত ১৪ বছরে সাংগু রিজার্ভ ফরেস্ট হারিয়েছে তার ৫০ শতাংশ পুরনো গাছ। বৃক্ষ নিধনের সাথে সাথে পাহাড়ি ঝিরির পাথর উঠানো হচ্ছে সমানতালে। এখন থানচি-লিকড়ি, আলীকদম-পোয়ামুহুরি সড়কের কাজ চলছে। এই সড়কের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ি ঝিরি থেকে উঠানো পাথর। অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলছে এই অবৈধ কার্যক্রম। ফলে পাহাড়ে ভূমিধস এবং ভূমিক্ষয় বেড়ে গেছে।

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের (নাসফ) সাধারণ সম্পাদক মো. তৈয়ব আলী, সেভ দ্যা হিল এন্ড ফরেস্টের আহবায়ক শিশির সালমান, সদস্য সচিব ছোটন মো. রহমতুল্লাহ, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ইয়ুথ সানের সভাপতি মাকিবুল হাসান, মার্শাল আর্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আতিক মোর্শেদ, নির্বাহী পরিচালক সুমন মাসুদ, পুষ্প সাহা পুকুর রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান মিন্টু, নাসফের সহ-সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, সেভ দ্যা হিল এন্ড ফরেস্টের সহ-সম্পাদক মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।

এফএইচএস/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন