ব্রির আরও ৫ ধানের জাত উদ্ভাবন
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা আরও পাঁচটি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। জাতীয় কারিগরি কমিটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো। এগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৮৩, ব্রি ধান ৮৪, ব্রি ধান ৮৫ ও ব্রি ধান ৮৬।
ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর জাগো নিউজকে বলেন, নতুন পাঁচটি জাতের মধ্যে তিনটি আউশ ও দুটি বোরো মৌসুমের। আউশ মৌসুমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এবার এর ওপর জোর দিয়েছি। সদ্য উদ্ভাবিত ব্রি ৮৪-তে আগের বোরো ধানের চেয়ে বেশি জিঙ্ক রয়েছে। ব্রি ৭৪-এ ২৪ শতাংশ জিঙ্ক থাকলেও নতুন জাতে এর পরিমাণ ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
উদ্ভাবিত জাতগুলো অল্পদিনে উচ্চফলনশীল হওয়ায় দেশের মোট ধান উৎপাদনে এগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে মনে করছেন ব্রির বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ব্রি ৮৬ জাতটিতে জৈব-প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, বোরো মৌসুমের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধান ব্রি ২৮-এর মতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এ জাত। আর ব্রি ৮২-তে কৃষক পাবেন সবচেয়ে উচ্চফলন, যা উৎপাদিত হবে স্বল্পতম সময়ে।
সদ্য উদ্ভাবিত ব্রি ৮২ রোপা আউশ মৌসুমের স্বল্পকালীন একটি জাত। এর জীবনকাল ১০০ থেকে ১০৫ দিন। জাতীয় কারিগরি কমিটিতে অনুমোদন পাওয়া এ জাতটির গড় ফলন হেক্টরে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ টন পর্যন্ত। এর চাল থেকে ভাত হবে ঝরঝরে।
সূত্র জানায়, ব্রি ৮২-র জীবনকাল হবে রোপা আউশ মৌসুমের প্রচলিত জাত ব্রি ৪৮-এর চেয়েও চার থেকে পাঁচ দিন কম। ব্রি ৮৩ বোনা আউশ মৌসুমের একটি জাত। ব্রি ৮৪ বোরো মৌসুমের একটি স্বল্পমেয়াদি জাত। একই সঙ্গে এটি উচ্চফলনশীল জিঙ্ক সমৃদ্ধও। হেক্টরে গড় ফলন ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন।
ব্রি ৮৪-এর জীবনকাল বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি ২৮-এর মতোই। এর জীবনকাল স্বল্প হওয়ায় বোরো মৌসুমের এ ধান আবাদের পর পাট চাষেরও সুযোগ তৈরি হবে। ব্রি ৮৫ রোপা আউশ মৌসুমের নতুন একটি জাত। এ জাতটির গড় ফলন সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ টন পর্যন্ত। জৈব প্রযুক্তি বিভাগ (এন্থার কালচার) ব্যবহারের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উদ্ভাবন করেছে 'ব্রি ৮৬'। সদ্য উদ্ভাবিত এ জাতটির গড় ফলন ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন পর্যন্ত।
আব্দুর রহমান আরমান/এফএ/আরআইপি