যেভাবে মৌ কলোনির পরিচর্যা করবেন
মধুকে সব রোগের ওষুধ বলা হয়। মধুর গুরুত্ব অনুধাবন করে মধু চাষের প্রচলনও শুরু হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত মধু সংগ্রহের উত্তম সময়। এছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় ব্যতিক্রম হিসেবে অনুকূল পরিবেশে উল্লিখিত সময় ছাড়াও মধু সংগ্রহ করা যায়।
পরিচর্যার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
• এলাকার বি-প্লান্টসের পরিচর্যা করা।
• অধিক মধু সংগ্রহের জন্য কলোনি পর্যাপ্ত বি-প্লান্টস পরিবেষ্টিত এলাকায় সাময়িকভাবে স্থানান্তর করা।
• নির্ধারিত ফুল ফোটার সময়ে মধু পাওয়ার জন্য প্রয়োজনবোধে কলোনি একত্রীকরণের ব্যবস্থা করা।
• চলাচল দরজার সম্পূর্ণ অংশ দিনের বেলায় খুলে দেওয়া। তবে ঝাঁক ছাড়ার প্রবণতা পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই কুইনগেট লাগাতে হবে।
• কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রুড ও সুপার চেম্বারের মাঝে কুইন এক্সক্লুডার স্থাপন জরুরি।
• রানী মৌমাছির অধিক ডিম দেওয়ার সুবিধার্থে ব্রুড চেম্বারে ভিত্তিচাক এবং পুরনো ভালো চাক পর্যায়ক্রমে দুটি ফ্রেমের মাঝখানে স্থাপন করা দরকার।
• একইভাবে সুপার চেম্বারেও অধিক মধু জমানোর জোগান দেওয়া সাপেক্ষে ভিত্তিচাক এবং পুরনো ভালো চাক স্থাপন করা যায়।
> আরও পড়ুন- সফল উদ্যোক্তা সোহাগের গল্প
• সুপার চেম্বারে শতকরা ৭০ ভাগ মধু জমানো কোষে ঢাকনা দিলে মধু নিষ্কাশন যন্ত্রের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করতে হবে।
• মধুঋতু শেষে সর্বশেষ মধু সংগ্রহের সময় মধুসহ কমপক্ষে একটি চাক কলোনিতে রেখে দিতে হবে।
• কোনো কারণে যথাসময়ে মধু সংগ্রহ করা সম্ভব না হলে সাময়িকভাবে আরও একটি সুপার চেম্বার স্থাপন করা শ্রেয়।
• বিনা প্রয়োজনে পুরুষ ও রানী কোষ তৈরি করে থাকলে তা কেটে বাদ দিতে হবে।
• সংগৃহীত মধু আধুনিক পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাত করে পরিষ্কার এয়ারটাইট পাত্রে রাখতে হবে।
• মধুঋতু শেষে সুপার চেম্বারের সব চাক এবং ব্রুড চেম্বারের অতিরিক্ত চাকগুলো রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
• কোনো কোনো সময় কলোনিতে পর্যাপ্ত মৌমাছি থাকা সত্ত্বেও শ্রমিক মৌমাছির দ্বারা সুপার চেম্বারে চাক তৈরি করতে অনীহা প্রকাশ পায় কিংবা চাক দিলেও তাতে মধু জমা করে না। এসব ক্ষেত্রে ব্রুড চেম্বার থেকে ২-১টি চাকের উপরের অংশ মধুসহ (আংশিক বা সম্পূর্ণ) কেটে সুপার ফ্রেমের সঙ্গে লাগিয়ে সুপার চেম্বারে দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
> আরও পড়ুন- লেবু-মাল্টা চাষে মোসলেমের স্বপ্ন পূরণ
• অন্য কোনো কলোনি থেকেও মধুসহ চাক সুপার ফ্রেমে এনে কলোনির সুপার চেম্বারে স্থাপন করা যেতে পারে।
• মধুঋতুর শেষ পর্যায়ে কিছু কিছু মৌ কলোনি বিভাজন করে কলোনির সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
• এছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী রুটিনমাফিক পরিচর্যাও অব্যাহত রাখতে হবে।
এসইউ/আরআইপি