পেয়ারার শত্রু ছাতরা পোকা
পেয়ারা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল। বাড়ির আশেপাশে বা ফাঁকা স্থানে পেয়ারা চাষ করা হয়। কখনো আবার বাণিজ্যিকভাবেও পেয়ারা চাষ করা হয়। তবে এর জন্য যত্নশীল হতে হয়। কেননা ছাতরা পোকা বা মিলিবাগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। তাই আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে-
লক্ষণ
• বাচ্চা ও পূর্ণবয়স্ক পোকা পেয়ারা গাছের কচি পাতা, ডগা ও পাতার রস চুষে খায়।
• আক্রান্ত গাছের কচি ডাল ও পাতার রং ফ্যাকাশে হয়ে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে।
• এই পোকার আক্রমণে কাঁচা পেয়ারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
• ফলের খোসা থেকে ছাতরা পোকা দলবদ্ধভাবে থেকে রস চুষে খায়।
• ফলের খোসায় কালো ছাতা পড়ে, আঠালো ভাব হয়।
• ছাতরা পোকার আক্রমণ বেশি হলে ফল থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
• গাছে ফুল ও ফল ধরে না বা ধরলেও ঝরে পড়ে।
• ছাতরা পোকা পাতার উপর আঠালো মধুরস নিঃসরণ করে।
• পাতার ওপরে কালো রঙের ছত্রাক রোগ সৃষ্টি করে।
• রোগাক্রান্ত গাছে ছাতরা পোকার মধুরস খাওয়ার জন্য পিঁপড়ার আক্রমণ হয়।
• পিঁপড়া ছাতরা পোকাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বয়ে নিয়ে যেতে পারে।
দমন
১. এই পোকা দেখামাত্র হাত দ্বারা সংগ্রহ করে মেরে ফেলতে হবে।
২. প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত অংশ কেটে ধ্বংস করতে হবে।
৩. গাছের গোড়ায় মাটি থেকে ১৫-২০ সেন্টিমিটার উপরে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে মুড়ে দিতে হবে।
৪. গুড়া সাবান প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
৫. ছাতরা পোকা দমনে পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. জৈব বালাইনাশক নিমবিসিডিন (০.৪%) ব্যবহার করা যেতে পারে।
৭. আক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে বিশেষজ্ঞ নির্দেশিত ওষুধ ভালোভাবে স্প্রে করতে হবে।
সূত্র : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
এসইউ/জেআইএম