পরিবেশের জন্য বাঘ বাঁচাতে হবে
বাংলাদেশের জাতীয় পশু বাঘ। বাঘের অভয়ারণ্য সুন্দরবন। নানাবিধ কারণে সুন্দরবন এখন হুমকির মুখে। সেইসঙ্গে সংকটে পড়েছে বাঘ। তাই এই প্রাণীটি এখন বিলুপ্তির পথে। ফলে বাঘকে বাঁচাতে হলে পরিবেশকে বাঁচাতে হবে।
প্রজাতি
বিড়াল প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রাণী বাঘ। ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন গ্রুপ বা ডাব্লিউডাব্লিউএফের তথ্য অনুযায়ী, এদের একেকটির ওজন ৩০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর বাঁচে ২৬ বছর পর্যন্ত।
শিকারি
বাঘের থাবায় ধারালো তীক্ষ্ণ নখ রয়েছে। আছে শক্তিশালী পা এবং বিশাল বিশাল দাঁত আর চোয়াল। তাই শিকার করতে এর সুবিধাই বেশি। বাঘের বিপুল পরিমাণ মাংসের প্রয়োজন, যা তাদের ক্ষুধা মেটায় ও শক্তি জোগায়। বাঘ এক বসায় ১ মণ মাংস খেতে পারে।
তপস্বী
বাঘ নিশাচর প্রাণী। এরা শিকারিকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে নিঃশব্দেই আক্রমণ করে। পুরুষ বাঘ নিঃসঙ্গভাবে চলাফেরা করে। বিশাল জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে।
পছন্দ
বাঘের প্রিয় পছন্দের মধ্যে পানি অন্যতম। এরা বেশ ভালো সাঁতারু। পাশাপাশি সাঁতরানোর সময় এরা শিকার ধরতেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
হুমকি
বাঘের হুমকি হিসেবে আবাসস্থল হারানো একটি প্রধান কারণ। বাঘেরা তাদের ৯৩ ভাগ আবাস হারিয়েছে। এর ফলে খুব অল্প জায়গায় বাস করছে বাঘ। সঙ্গে পাচারকারীরাও বাঘের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বাঁচাও
২০১০ সালে বাঘের সংখ্যা ছিলো ৩ হাজার ২শ’। আর বর্তমানে ৩ হাজার ৯শ’। ভারত, রাশিয়া এবং নেপালে ডাব্লিউডাব্লিউএফের কার্যক্রমে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে। আশা করা যায়, বাঘের সংখ্যা আরো বাড়বে।
এসইউ/এমএস