কৈ মাছের রোগ হলে কী করবেন
কৈ মাছ একটি সুস্বাদু মাছ। সবারই খেতে ভালো লাগে মাছটি। বাসায় মেহমান এলে আপ্যায়নের তালিকায় কৈ মাছ থাকা চাই। তাই এ মাছের কদরও বেশি। আর সে কারণেই কৈ মাছের যত্ন নিতে হয়। জানতে হয় এর রোগ-বালাই এবং প্রতিকার সম্পর্কে।
রোগ-বালাই
কৈ মাছের ক্ষতরোগ ছাড়া আর কোনো রোগ দেখা যায় না। সাধারণত নমুনায়ন পরীক্ষার সময় পুকুরে ছাড়া মাছগুলোই পরবর্তীতে ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয়। যা পরবর্তীতে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে। এ ছাড়া ঘন ঘন জাল টানলেও এ রোগ দেখা দিতে পারে।
প্রতিকার
কৈ মাছের ক্ষতরোগ খুব দ্রুত ছড়ায়। তাই সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে হয়। এ রোগের জন্য শতাংশপ্রতি ১ কেজি লবণ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ পর আরেকবার একই হারে প্রয়োগ করতে হবে।
পরিচর্যা
থাই কৈ সাধারণত শীতকালে ক্ষতরোগে আক্রান্ত হয়। তাই শীতকাল আসার আগেই মাছ বাজারজাত করতে হবে। তবে ভালো ব্যবস্থা নিলে শীতকালেও মাছ মজুদ রাখা যায়।
পদ্ধতি
• সপ্তাহে অন্তত একদিন পানি পরিবর্তন করতে হবে। সেক্ষেত্রে ২ ফুট পানি কমিয়ে নতুন পানি দিতে হবে।
• প্রতি ১৫ দিন পর পর শতাংশপ্রতি এক কেজি লবণ পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
• মাছের ঘনত্ব প্রতি শতাংশে ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে আনতে হবে।
• শীতকালে অবশ্যই ভাসমান খাবার প্রয়োগ করতে হবে। খাবারের অপচয় থেকেও রোগ-বালাই হতে পারে।
• ১৫ দিন পর পর মাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।
• মাছের গায়ে কোনো রোগের লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে বাজারজাত করতে হবে। রোগ থাকলে মূল্য নেই।
• বাজারজাত ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ব্যাপকহারে জাল টানা যাবে না।
এসইউ/পিআর