জয়পুরহাটে থোকায় থোকায় ঝুলছে আরবের খেজুর
গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে কাঁচা-পাকা খেজুর। মরিয়ম, আজোয়া, মেডজুল, আম্বার, সুক্কারিসহ প্রায় ১০ জাতের খেজুর রয়েছে বাগানে। এমনই নয়নাভিরাম দৃশ্য সৌদি আরবে নয়, দেখা যাবে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার মুনজিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাগানে।
সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০২১ সালে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে খেজুর বাগান করার আগ্রহ জন্মে। খোঁজ নিয়ে ঢাকা, নরসিংদীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চারা সংগ্রহ করে ২০২১ সালের ২৫ আগস্ট ৪৫০টি চারা রোপণ করি। প্রতিটি চারা ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা করে কিনি। প্রতিটি টিস্যু কালচার চারা সাড়ে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা দামে কিনি।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার বাগানে সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউটিউব দেখেই সব গাছের পরিচর্যা করেছি। এ পর্যন্ত দুই-আড়াই লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছি। এরই মধ্যে ১০৩টি গাছে ফল ধরেছে। যে ফল থেকে ৫-৭ লাখ টাকা বিক্রির আশা করছি।’
আরও পড়ুন
আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি গ্রামের কৃষক আতোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে জানতে পারলাম, আমাদের আক্কেলপুরেই সৌদি আরবের খেজুর চাষ হচ্ছে। তাই বাগানটি দেখতে এলাম। বাগান দেখে খুব ভালো লাগলো। গাছে গাছে খেজুর ধরে আছে। আমিও কিছু চারা এখান থেকে নিয়ে যাবো।’
মনজিয়া গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম আমার চাচাতো ভাই। তিনি প্রথমে যখন বাগানে এসব গাছ লাগান; তখন বিশ্বাস করিনি যে খেজুর ধরবে। অথচ এখন বাগানে অনেক সুন্দর খেজুর ধরেছে। বাগান দেখে অনেক ভালো লাগছে। আমরাও বাগান করার স্বপ্ন দেখছি।’
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘খেজুর মূলত সৌদি আরবে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। সাইফুল ইসলামও তাদের মধ্যে একজন। আমরা তার বাগানের খোঁজ রাখছি। সরকারিভাবে কোনো ধরনের সহযোগিতা এলে তাকে দেওয়া হবে।’
আল মামুন/এসইউ/এমএস