ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

কৃষকের চোখে সোনালি আঁশের সোনালি স্বপ্ন

উপজেলা প্রতিনিধি | বেনাপোল (যশোর) | প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৪

যশোরের শার্শা উপজেলায় অনুকূল পরিবেশ ও লাভজনক হওয়ায় চলতি বছর বেড়েছে পাট চাষ। কৃষক সোনালি আঁশে এরই মধ্যে রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এলাকার মাটি পাট চাষের উপযোগী হওয়ায় উন্নতমানের আঁশের ব্যাপক চাহিদা আছে। পাট চাষে অন্য ফসলের চেয়ে তুলনামূলক খরচ কম এবং উৎপাদন ভালো। লাভজনক, সহজলভ্য ও পাইকারি বাজার সৃষ্টি হওয়ায় পাট চাষে ঝুঁকেছেন তারা। এ ছাড়া নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরার্মশ এবং সরকারি সহায়তার ফলে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতি মৌসুমে বাড়ছে পাট চাষ।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, শার্শা উপজেলায় ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রায় ৫ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৫ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। দো-আঁশ মাটি, রোগবালাই কম, সরকারি ভর্তুকি, বিনা মূল্যে বীজ সুবিধাসহ কম খরচে লাভজনক হওয়ায় এ বছর ৫ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ হয়েছে। পাটের জাতের মধ্যে দেশি সিভিই-৩, সিসি-৪৫, ডি-১৫৪-২, বিজেআরআই-৫, রবি-১ ইন্ডিয়ান জাতের মধ্যে কৃষি সেবাইন-১৩৫২৪, শঙ্খ-৯৮৯৭ ও তোষা-৮ উল্লেখযোগ্য।

উপজেলার চাষিরা জমি চাষ দিয়ে প্রস্তুত করে বোনা এবং বিনা চাষে ধানের জমিতে ছিটিয়ে পাট চাষ করেন। চাষ করা পাট বীজ বোনার ১২০ ও ধানের জমিতে পাট বীজ ছিটিয়ে বোনার ১১০ দিনের মধ্যে পাট কাটার উপযোগী হয়। বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার বিঘা জমিতে দেশি ও বিদেশি উচ্চ ফলনশীল জাতের পাট চাষ করা হয়েছে।

কৃষকের চোখে সোনালি আঁশের সোনালি স্বপ্ন

ডিহি ইউনিয়নের দরিদূর্গাপুর গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া, মিজাম উদ্দিন, মাহবুব আলী, শার্শা ইউনিয়নের শ্যামলাগাছী গ্রামের নাজিম উদ্দিন, উলাশী ইউনিয়নের খাজুরা গ্রামের আমিরুল ইসলাম, কায়বা ইউনিয়নের পাঁচ কায়বা গ্রামের মেছের আলী, গোগার গোলাম রসুল ও বাহাদুরপুরের মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের উৎসাহ ও পরামর্শ অনুযায়ী এ বছর ৫-২০ বিঘার মতো জমিতে ছিটিয়ে পাট চাষ করেছি। আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রচণ্ড দাবদাহে পাটে তেমন রোগবালাই দেখা দিচ্ছে না। পাট কাটার আগমুহূর্ত পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘাপ্রতি ১০-১৬ মণ পাট পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

কৃষকের চোখে সোনালি আঁশের সোনালি স্বপ্ন

বাজারে পাটের দাম ভালো পেলে তারা সবাই সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘাপ্রতি ২০-২৫ হাজার টাকার মতো লাভ করতে পারবেন বলে জানান। সেই সঙ্গে স্থানীয় ও বাইরের জেলাগুলোতে পাটখড়ির ভালো চাহিদা থাকায় বিক্রি করে এখান থেকেও বেশ ভালো টাকা আয় করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিপক কুমার সাহা বলেন, ‘চলতি মৌসুমে সরকারি প্রণোদনার এক কেজি করে পাট বীজ উপজেলার ২ হাজার ৬০০ কৃষকের মাঝে বিতরণ করা হয়। সার বরাদ্দ না থাকায় দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে পাট উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে চাষিদের সহায়তা করা হয়েছে। ঠিকমতো জাগ দেওয়ার সুযোগ পেলে পাট চাষে কৃষকেরা লাভবান হবেন, এমন আশা করা যেতেই পারে।’

মো. জামাল হোসেন/এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন