ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

বর্ষায় শোভা পাচ্ছে চালতা ফুল

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৩৩ পিএম, ০৫ জুলাই ২০২৪

নিয়ামুর রশিদ শিহাব

‘আমি চলে যাবো বলে, চালতা ফুল কি আর ভিজিবে না শিশিরের জলে, নরম গন্ধের ঢেউয়ে?’ চালতা ফুলকে ঘিরে এমনটাই লিখেছিলেন রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ। চালতা ফুলের দেখা মেলে বর্ষায়, বিচরণ চলে শীতকাল পর্যন্ত। একসময় রাস্তার পাশে, পুকুরপাড়ে বা বাড়ির আঙিনায়, বনে-বাঁদাড়ে চালতা গাছের দেখা মিলতো। বর্তমানে সে দৃশ্য খুব কমই চোখে পড়ে।

জানা যায়, চালতার বৈজ্ঞানিক নাম Dillenia indica। শ্রীলঙ্কা, চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশকিছু দেশে চালতা জন্মে। ইংরেজিতে Dillenia indic নামে পরিচিত। বিশেষত এটি ভারতবর্ষীয় উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত।

আষাঢ়-শ্রাবণে ফোটে ফুল। সুগন্ধি ফুলে থাকে ৫টি পাপড়ি। পাপড়িগুলো থেকেই ফল হয়। ফুল সাদা রঙের। ফোটার পর ফুলে মৌমাছি বসে। মৌমাছি মধু আহরণে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে বসে চালতার পরাগায়ন ঘটালে আস্তে আস্তে ফলে পরিণত হয়।

চালতা ফুল রাতে ফোটে। ফুল দেখতে সাদা, সুন্দর ও সুগন্ধযুক্ত। ফুলের ব্যাস ১৫-১৮ সেন্টিমিটার। ফুল ফোটার এক দিনেই ফুলের পাপড়ি ঝরে পড়ে এবং ফলে পরিণত হয়। বহুবিধ ভেষজ ওষুধি গুণে ভরপুর এ ফল পাকে বর্ষার পর। ফল থাকে শীতকাল পর্যন্ত। বছরে একবারই গাছে ফল ধরে। ফলের ওজন হয় ২০০-৫০০ গ্রাম।

আরও পড়ুন

ফলটি কাঁচাও যেমন খাওয়া যায়, তেমনই চালতার আচার সব বয়সের মানুষের কাছে খুবই প্রিয়। গাছটি ওষুধি গুণসম্পন্ন। গাছটি মাঝারি ও চিরহরিৎ জাতীয় উদ্ভিদ। উচ্চতায় ১৫ মিটার পর্যন্ত হয়। গায়ে লাল রঙের চকচকে বাকল থাকে। পাতার কিনারা খাঁজকাটা। শিরা উঁচু সমান্তরাল।

শুধু ফলের উপযোগিতার কারণেই এমন সুন্দর ফুল আমাদের কাছে অনেকটাই উপেক্ষিত। অথচ চারপাশের গাছগাছালির ভেতর আমাদের অজান্তেই ফুলটি তার অপার সৌন্দর্য বিলিয়ে যায়। তাই হঠাৎ এ ফুলের দেখা পাওয়া অনেকটা আবিষ্কারের মতোই।

গাছ ওষুধি গুণাগুণসম্পন্ন এবং ফুল দেখতে অত্যন্ত সুন্দর, সুগন্ধযুক্ত এবং পরিবেশবান্ধব। চালতায় আছে প্রচুর ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে স্বাস্থ্যহানিতেও যথেষ্ট উপকারে আসে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এ গাছ লাগানো প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব ও বিপন্ন এ গাছকে রক্ষা করা জরুরি।

লেখক: শিক্ষার্থী, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন