ঝালকাঠিতে তাপপ্রবাহ
পাকছে বোরো ধান, কাটার লোক নেই
ঝালকাঠি জেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। সেই ধান পাকতে শুরু করেছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সব ধান পেকে যাবে। এরই মধ্যে আগাম চাষ করা বোরো ধান পেকেছে। তীব্র গরমে মাঠের ধান কাটার শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চলতি মৌসুমের বোরো ধান চাষিরা। তাদের দাবি, দিনে ৮০০ টাকা মজুরি হাঁকলেও মিলছে না শ্রমিক।
কৃষি বিভাগ বলছে, জেলায় এ বছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। লাভজনক ফসলের কারণে কৃষক আগ্রহী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর। তবে এ ফসল কেটে তুলতে শ্রমিকের অভাবে সমস্যায় পড়ছেন কৃষকেরা। চলতি মাসজুড়েই তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঝালকাঠিও।
জানা যায়, এ বছর এরই মধ্যে তাপপ্রবাহ রেকর্ড গড়েছে। আগে দেশে সর্বোচ্চ ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহের রেকর্ড ছিল। এ বছর তা এরই মধ্যে ২৭ দিন অতিক্রম করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশ প্রায় ৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পৌঁছেছে। টানা এই তাপপ্রবাহের কারণে সারাদেশে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে এবং সেটি বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
মিরসরাইয়ে পরীক্ষামূলক চাষে বাম্পার ফলন
সাতক্ষীরায় নতুন জাতের ধান চাষে সফল কৃষক
কৃষকেরা বলছেন, দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান ঘরে তুলছেন। তাদের দাবি, উৎপাদন খরচ বাড়ায় এবার লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘তাপমাত্রা এত বেশি যে লোকজন মাঠে কাজ করতে পারছে না। পাকা ধান মাঠেই থেকে যাচ্ছে। ধান কাটার আধুনিক মেশিনের ব্যবহারও সহজলভ্য নয়। দিনমজুর না পাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছি। খুব সমস্যা।’
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ দিয়েছি। তীব্র গরমের কারণে তারা এখন ধান কাটতে পারছেন না। কয়েকদিন পরেই কিছুটা সহনশীল পরিবেশ পাওয়া যাবে। তবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কাও আছে। এজন্য ভারী বৃষ্টি নামার আগেই ৮০% ধান পাকলেই কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
আতিকুর রহমান/এসইউ/জেআইএম