কালীগঞ্জে লাউ চাষে সফল ৩ ভাই
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জৈবিক কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনায় লাউ চাষ শুরু করেন ৩ ভাই। লাউ চাষে রোগবালাই কম ও ঝুঁকি না থাকায় তারা সফল হয়েছেন। বিষ দিতে হয়নি বলে এ লাউ খেতেও খুব সুস্বাদু। তবে ৩ ভাইয়ের সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকেরাও এখন লাউ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী গ্রামের ফসলের মাঠ। আশপাশে বিস্তীর্ণ ধানের ক্ষেত। মাঝখানে লাউ চাষ করেছেন ইউপি সদস্য পনির মিয়া এবং তার দুই ভাই চাঁন মিয়া ও চিনি মিয়া। লাউ চাষে ৩ ভাই সফলতা পেয়েছেন। তারা প্রায় দেড় বিঘা জমিতে মাচায় লাউ চাষ করেছেন। লাউ চাষি কৃষক ৩ ভাই কঠোর পরিশ্রমী। শ্রমের সঙ্গে কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শের কারণে তারা সফল হয়েছেন।
লাউ চাষে ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ও জৈব সার ব্যবহার করেছেন। বীজ রোপণের দেড় মাসের মধ্যে গাছে ফুল আসে। এর কিছুদিন পর গাছে লাউ শোভা পায়। ক্ষেত থেকে সেই লাউ সংগ্রহ করেন ৩ ভাই। বিক্রির জন্য এগুলো নিয়ে যান বাজারে। আবার বাড়ি থেকেও পাইকাররা নিয়ে যান। এ পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছেন। একই পরিমাণ লাউ বিক্রি করা যাবে।
আরও পড়ুন
বড় ভাই চাঁন মিয়া (৫৫) বলেন, ‘দেড় বিঘা জমিতে ৩ ভাই মিলে উচ্চ ফলনশীল জাতের লাউ ক্ষেত করেছি। মাচায় ফলন ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাজার খানেক লাউ বিক্রি করেছি। যে পরিমাণ লাউ আছে, তা-ও ভালো টাকায় বিক্রি করা যাবে। মাঝে মধ্যে বাজারে লাউ নিয়ে গেলেও বেশিরভাগ সময় পাইকাররা বাড়ি এসেই কিনে নিয়ে যান।’
মেজো ভাই ইউপি সদস্য পনির মিয়া (৪০) বলেন, ‘বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ৩ ভাই মিলে বিভিন্ন সবজি চাষ করি। এবার দেড় বিঘা জমিতে লাউ চাষ করেছি। ফলন খুব ভালো হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামীতেও লাউ চাষ করবো।’
ছোট ভাই চিনি মিয়া (৩৫) বলেন, ‘আমাদের ৩ ভাইকে সার্বিকভাবে সহায়তা করেন উপজেলা কৃষি অফিস ও তাদের কৃষি ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।’
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘৩ ভাই লাউ চাষে আগ্রহী হয়েছেন। আমরা পরিবেশবান্ধব কৌশলে নিরাপদ ফসলের প্রকল্পের আওতায় তাদের একটি প্রদর্শনী দিয়েছি। এখন তাদের চাষ করা লাউয়ের ভালো ফলন দেখে আশপাশের কৃষকেরাও সবজিটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’
আব্দুর রহমান আরমান/এসইউ/এএসএম