ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

সীতাকুণ্ডে ১২ হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দ্বিতীয়বারের মতো বিভিন্ন রঙের ফুলকপির আবাদ হয়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে কিছুটা কম সময় লাগে রঙিন ফুলকপি চাষ করতে। তাই কৃষকদের মধ্যে রঙিন ফুলকপি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স (পার্টনার) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ফৌজদারহাট এলাকায় রঙিন ফুলকপি চাষ হয়েছে।

এছাড়া উপজেলার নুনাছড়া, টেরিয়াইল, ফুলতলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে রঙিন ফুলকপির আবাদ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে মোট ৯৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে গাজর চাষে প্রথমবারেই সফল নূর আলম

জানা গেছে, গত বছর সীতাকুণ্ডে ১ হাজার ২০০টি রঙিন ফুলকপির আবাদ হলেও এ বছর ১০ গুণ বেড়ে ১২ হাজার রঙিন ফুলকপির আবাদ হয়েছে। গত বছর ১৫ জন চাষি রঙিন ফুলকপি চাষ করেন। এ বছর ৪৫ জন কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন।

বাংলাদেশে ‘রঙিন’ ফুলকপির চাষ শুরু হয় ২০২১ সালে। জামালপুরের ১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ অ্যাগ্রো কম্পোজিট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে মাটি ছাড়াই কোকোফিডের মধ্যে সবজির চারা উৎপাদন করা হয়। তারা ভারত থেকে কিছু রঙিন ফুলকপির বীজ এনেছিলেন পরীক্ষামূলক চাষের জন্য। সেখানে রবি মৌসুমে হাজার দুয়েক চারা উৎপাদন করা হয়।

সীতাকুণ্ডে ১২ হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ

ফৌজদারহাট এলাকার কৃষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গত বছর অল্প পরিমাণে রঙিন ফুলকপি চাষ করেছিলাম। ভালো আয় হয়েছে। এ বছরও কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২ হাজার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। আশা করছি প্রতিটি রঙিন ফুলকপি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হবে। সব সময় উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পরামর্শসহ বিভিন্ন সহযোগিতা পাচ্ছি।’

আরও পড়ুন: পড়াশোনার পাশাপশি স্কোয়াস চাষে সফল মনজুরুল

সীতাকুণ্ড উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপর্ণা বড়ুয়া বলেন, ‘রঙিন ফুলকপি চাষে রোগবালাই কম হয়। জৈব উপায়ে এ ফুলকপিতে আসা পোকামাকড় দমন করা যায়। চাষিকে বাড়তি কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।’

সীতাকুণ্ড উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘রঙিন ফুলকপি ও সাদা ফুলকপির মধ্যে পার্থক্য শুধু বীজে। চাষ পদ্ধতির অন্য সব প্রক্রিয়া একই। কিন্তু বাজারমূল্য সাদা ফুলকপির তুলনায় রঙিন ফুলকপির ২০-২৫ টাকা বেশি।’

এম মাঈন উদ্দিন/এসইউ/জেআইএম

আরও পড়ুন