শীতের সবজি সংগ্রহের নিয়ম
শীতকালে যেসব সবজি পাওয়া যায়, সেগুলোই শীতের সবজি। শীতের শুরুতে বা শীত শুরুর মাস খানেক আগে যেসব উৎপাদিত সবজি সংগ্রহ করে বাজারজাত করা হয়, সেগুলোকে শীতের আগাম সবজি বলা হয়। এ সময়ে বাজারে শীতের আগাম সবজি ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউ, মুলা, কুমড়া, মিষ্টিকুমড়া পাওয়া যায়।
ধরনভেদে বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশলে এসব সবজি সংগ্রহ করতে হয়। আসুন জেনে নিই শীতের সবজি সংগ্রহের নিয়ম-
ঢ্যাঁড়শ
কোমল ও কচি অবস্থায় এর ফল তুলতে হবে। তা না হলে ফল শক্ত ও খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফল বের হওয়ার ৩-৫ দিন পর ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার উপযোগী হয়। ফল তোলা না হলে কাণ্ডের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফলন কম হয়।
আরও পড়ুন: আগাম জাতের ভুট্টায় ঝুঁকছেন ভৈরবের চাষিরা
ধুন্দল
বীজ বোনার দেড় থেকে দুই মাস পর থেকে ধুন্দল ফল ধরা শুরু হয়। এটি দুই-তিন মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। গাছে ফল ধরার ৮-১০ দিন পরই সংগ্রহের উপযোগী হয়। ফল কচি অবস্থায় সংগ্রহ করা উচিত। এতে পুষ্টিমান বজায় থাকে। বেশি পরিপক্ব ফলের স্বাদ ও পুষ্টিমান দুটিই কমে যায়।
বরবটি
শুঁটি পরিপূর্ণ লম্বা ও মোটা হলে এবং বীজের অংশ সামান্য স্ফীত হতে শুরু করলে বরবটি তোলা যাবে।
লাউ
ফলের ত্বকের লোমশ ভাগ পরিপক্বতার সাথে সাথে কমতে থাকে। ফলের লোমশ ঘনত্ব দেখেও এর সংগ্রহ উপযোগিতা নির্ণয় করা যায় এবং সংগ্রহ করতে হয়।
আরও পড়ুন: চাষ করুন শীতের ফুল অ্যাস্টার
মূলা
বীজ বপনের ২০-২৫ দিন পর থেকে সংগ্রহ করা যায়। শাকের জন্য ঘন করে লাগালে ফসল ২০ দিন পর এবং মুলার জন্য ৪০ দিন পর থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত সংগ্রহ করা যাবে।
শিম
ফুল ফোঁটার ২০-২৫ দিন পর সংগ্রহ করা যায়। শুঁটি পরিপূর্ণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হলে বীজের অংশ কিছুটা স্ফীত হওয়ার পর পরই সংগ্রহ করতে হবে। অতিরিক্ত পরিপক্ব শুঁটিতে আঁশ জন্মালে কোমলতা ও স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)
এসইউ/এএসএম