ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

শঙ্কা কাটিয়ে মিরসরাইয়ে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩

সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় চলতি মৌসুমে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার কৃষকেরা। শেষ সময়ে হলেও বৃষ্টি হওয়ায় নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে আমনের রোপা আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রায় ১০ হাজার কৃষক। আমনের চারা রোপণ করে সাজিয়ে তুলছেন সবুজ মাঠ। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের প্রায় শেষ দিকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলনের আশা করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি থেকে বৃষ্টি পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। এর আগে রোপা আমনের বীজতলায় কোনোভাবে সেচ দিয়ে চারা বাঁচিয়ে রাখলেও বৃষ্টি না হওয়ায় সেই চারা তুলে মাঠে যেতে পারছিলেন না কেউ। অবশেষে বৃষ্টি নামার ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা জমিতে আমনের চারা লাগিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ধান রোপণে কম খরচে কৃষকের স্বস্তি

উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার কৃষক ওবায়দুল হক বলেন, ‘এ বছর আমন চাষ নিয়ে অনেক চিন্তায় ছিলাম। একেবারে বৃষ্টি ছিল না। আদৌ চারা লাগাতে পারবো কি না। শেষে আল্লাহর রহমতে বৃষ্টি হওয়ার পর ১৫ দিনের মধ্যে আমার সব জমিতে চারা লাগনো শেষ। এবারও প্রায় দেড় একর জমিতে আমন চাষ করেছি।’

দুর্গাপুর ইউনিয়নের রায়পুর এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সেচের পানি দিয়ে বীজতলা করে রেখেছি। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কোনোভাবে জমিতে রোপা লাগাতে পারছিলাম না। এবার প্রায় ২ একর জমিতে আমনের চাষ করবো। বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় রোপা লাগানো শেষ। সামান্য বাকি আছে। দু’একদিনের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

আরও পড়ুন: শার্শায় রোপা আমন চাষ নিয়ে চিন্তায় কৃষকেরা

মিরসরাই উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একটু দেরি হলেও শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৩ সপ্তাহে প্রায় বেশিরভাগ জমিতে চাষাবাদ হয়ে গেছে। আউশ চাষ করা ৫৫০০ হেক্টর জমি ছাড়া। এ জমিতে আউশ ধান কাটার পর রোপা আমন লাগানো হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটাতে আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেক চাষিকে বিনা মূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও আগাছা দমন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেক কৃষককে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন