ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

শার্শায় মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফল মমিনুর

উপজেলা প্রতিনিধি | বেনাপোল (যশোর) | প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ১৪ জুন ২০২৩

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন কাঠশেকরা গ্রামের মাঠে সবুজ পাতার ফাঁকে মাচায় ঝুলছে করলা, শসা, ঝিঙে ও পটল। মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড এসব সবজি চাষে কম খরচে ফলন বেশি পাওয়া যায়। এসব সবজি চাষ করে সফল হয়েছেন মমিনুর রহমান (৬৫)। তিনি নাভারন কাঠশেকরা গ্রামের মৃত সামছের রহমানের ছেলে।

জানা যায়, মমিনুর রহমান কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতি বছর বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করেন। বাজারে সবজির চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় তিনি সবজি চাষ করে আসছেন। তার বাড়ির পাশের মাঠে ২ বিঘা ৬৬ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধিতে করলা, শসা, বেগুন, পটল ও ঝিঙে চাষ করেছেন।

in-(2).jpg

আরও পড়ুন: সোনাগাজীর কৃষকদের মুখে হাসি

মালচিং পদ্ধতিতে এ চাষে তার খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে তিনি লাখ টাকার বেশি শসা ও পটল বিক্রি করেছেন। মাঠে এখনো ঝিঙে ও পটল যা আছে, তাতে ১ লাখ টাকা বিক্রি হবে। বর্তমানে তার এখানে ৫-৬ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

মমিনুর রহমান জানান, শার্শা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ইয়ার মালিক সিড কোম্পানির ময়নামতি জাতের শসার বীজ বগুড়া থেকে সংগ্রহ করে রোপণ করেন। বেড তৈরি করে রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এতে অতিবৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এতে উৎপাদন খরচ কম। শসা ও ঝিঙে রোপণের ২৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে। ৪৫ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায়। ৭০ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।

in-(2).jpg

আরও পড়ুন: বদলগাছীতে সমন্বিত চাষে লাভবান আব্দুর রউফ

তিনি জানান, বারো মাসই শসা, পটল, ঝিঙের ব্যাপক চাহিদা থাকে। দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসেবে প্রায় ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সহযোগিতা পেলে কৃষিতে আরও সাফল্য পাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে। ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ আধুনিক পদ্ধতি। এ পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্য পদ্ধতির চেয়ে কম লাগে। রোগবালাইও অনেক কম। আগাছা দমনের জন্য এ পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো।

মো. জামাল হোসেন/এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন