সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে বাড়ছে কাউন চাষ
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর চরাঞ্চলে কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের একমাত্র আয়ের উৎস চাষাবাদ ও মাছ শিকার। কিন্তু যমুনায় পানি নেই। চারদিকে শুধু ধু-ধু বালুচর। তাই বন্ধ হয়েছে আয়ের উৎস। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যমুনার বালুচরে কাউন চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে চরাঞ্চলের মানুষ।
গত ১০ জুন কাজীপুর চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, চরগিরিশ, মনসুর নগর, খাসরাজবাড়ী, নিশ্চিন্তপুর, তেকানী, নাটুয়ারপাড়া, শুভগাছা ও মাইজবাড়ী ইউনিয়নে যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরে কাউন চাষ করা হচ্ছে। বিলুপ্তপ্রায় ফসলটি আবারও নতুনভাবে কৃষকেরা চাষ করছেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে কলা চাষে ভাগ্য বদলেছে কৃষকের
কাজীপুর নাটুয়ারপাড়া চরের কৃষক আবুল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আগের লোকসান ভুলে আবারো কাউন চাষ করছি। বর্তমানে বারি কাউন-২ জাতটি চাষ করছি। চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ১০-১২ মণ ফলন পাওয়া যায়। আগের তুলনায় এখন ফলন প্রায় ৩ গুণ বেশি উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে ১৬০০-১৭০০ টাকা মণ বিক্রি করা যায়।’
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে চরাঞ্চলে পানি সংকটে ধানের আবাদ না হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজীপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরের চরাঞ্চলের কৃষক ধু-ধু বালুচরে ৫০৩ হেক্টর জমিতে কাউন চাষ করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিলুপ্ত প্রায় এ কাউন চাষে আবারও আগ্রহী হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এতে বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৬৭ কোটি টাকার ধান উৎপাদন হবে
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জাগো নিউজকে বলেন, ‘চরাঞ্চলগুলোয় কাউনসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে কৃষকদের নিয়মিতভাবে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
এম এ মালেক/এসইউ/জেআইএম