ফলনে খুশি কৃষক
ভোলায় রেকর্ড পরিমাণ সূর্যমুখী চাষ
এবছর ভোলায় রেকর্ড পরিমাণ চাষ হয়েছে সূর্যমুখী। ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ তেমন না থাকায় ফলনও হয়েছে ব্যাপক। বাজারদর বেশি হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। সূর্যমুখী বেশি লাভজনক ফসল হওয়ায় দিন দিনই বাড়ছে চাষির সংখ্যা।
সরেজমিনে জানা যায়, এবছর ভোলার ৭ উপজেলা সূর্যমুখীর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৫০ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৯০৭ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫৭ হেক্টর বেশি। কৃষকরা ক্ষেতে শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত। কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে কাটতে শুরু করবেন। এবছর ৭ উপজেলায়ই সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চর কালি গ্রামের কৃষক মো. আনছার আলী ও আরশাদ আলী জানান, তারা এবছর ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। তাদের আশা, প্রায় ৩০-৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে সূর্যমুখী চাষে লাখ টাকা ঘরে তোলার আশা
তারা জানান, এবছর ক্ষেতে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই। তাই ক্ষেতে তেমন সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। যে কারণে উৎপাদন খরচও কম হয়েছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক শাহ্ জামাল ও আবুল কাশেম জানান, তারা গত বছর থেকে সূর্যমুখী চাষ করে আসছেন। গত বছর তাদের সূর্যমুখী চাষ করে ব্যাপক লাভ হয়েছে। এবছর আরও বেশি জমিতে চাষ করেছেন। ক্ষেতে ব্যাপক ফলন হওয়ায় তারা খুশি।
তারা জানান, সূর্যমুখী যখন ক্ষেত থেকে কাটেন; তখনই স্থানীয় ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ ক্ষেত থেকে কিনে নিয়ে যান। যে কারণে তাদের কষ্ট করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে হয় না। ক্ষেতে বসেই তারা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণপ্রতি বিক্রি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সূর্যমুখী চাষে লাভের আশা
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের চর কালি গ্রামের কৃষক মো. নূরুন্নবী জানান, তাদের এলাকার কৃষকরা সূর্যমুখী চাষ করে অনেক লাভবান হচ্ছেন। এটি জানতে পেরে তিনি সূর্যমুখী ক্ষেতে এসে কৃষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছেন। আগামী বছর এক থেকে দেড় একর জমিতে তিনি সূর্যমুখী চাষ করবেন।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসূল কবীর জানান, সূর্যমুখী একটি লাভজনক ফসল। তারা কৃষককে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছেন। এতে ভোলায় এবছর বেকর্ড পরিমাণ চাষ হয়েছে। এছাড়াও এবছরের সফলতা দেখে আগামী বছর আরও চাষ বাড়বে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসইউ/এএসএম