লালমির ফলন কম
ফরিদপুরে লোকসানের মুখে চাষিরা
চাষিদের টার্গেট রমজান মাস। পবিত্র রমজান উপলক্ষে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চাষিরা বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বাঙ্গি ও লালমি চাষ করেন। গত বছর ভালো ফলন আর ভালো দাম পেয়ে এবার বেশি জমিতে লালমি চাষ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার লালমি চাষের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। যে কারণে গত বছরের তুলনায় এবার ফলন হয়েছে কম। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় লালমির স্বাদও বেশ ভালো। ফলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা এখান থেকে লালমি কিনে তা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করেন।
চাষিরা জানান, প্রখর খরা, পোকামাকড় এবং ভাইরাসজনিত কারণে লালমির ফলন বিপর্যয় হয়েছে। তারপরও যা আছে, তার ভালো দাম পেলে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মার্চ-এপ্রিলে আমের পরিচর্যা
উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের লালমি চাষি মো. জব্বার শেখ জাগো নিউজকে জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে লালমি আবাদ করছেন। ভালো ফলন ও দাম পেয়ে বেশ লাভবান হয়েছেন। প্রতিবছর টার্গেট থাকে রমজানে বাজারে তোলা। সেভাবেই চাষাবাদ করা হয়। এ বছর বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। ১ একর জমিতে চাষ করা লালমির এবার ফলন কম হয়েছে। খরচ হয়েছে বেশি। তাই লোকসানের আশঙ্কায় আছেন তিনি। তারপরও আশা করছেন, দাম ভালো পেলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে বেশি জমিতে বাঙ্গি ও লালমি আবাদ করেছি। এবার সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। তারপর আবার ফলন কম। ভালো দাম না পেলে লোকসানের মুখে পড়বো।’
সাভার থেকে আসা ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রতি বছর রমজান শুরুর দিকে এ এলাকা থেকে বাঙ্গি ও লালমি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে থাকি। এ এলাকার লালমি ও বাঙ্গি সুস্বাদু। যে কারণে চাহিদা বেশি। গতবার প্রচুর বাঙ্গি ও লালমি আবাদের পাশাপাশি ভালো ফলন হয়েছিল। এবার ফলন কম।’
আরও পড়ুন: বরই চাষে ৫ লাখ টাকা আয় করেন আজাদুর
সদরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিধান রায় বলেন, ‘সদরপুর উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫শ একর জমিতে লালমি চাষাবাদ করা হয়েছে। গত বছররের তুলনায় এ বছর আবাদের পরিমাণও বেশি। এবার হেক্টর প্রতি ৩৫ টন ফলন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে চাষিরা বাজারে ভালো দাম পেলে তাদের লোকসান হবে না।’
এন কে বি নয়ন/এসইউ/এমএস