আগাম তরমুজ চাষে সফল ভৈরবের ৪ কৃষক
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন ৪ কৃষক। সুনামগঞ্জ জেলা থেকে আসা আবু কাউছার, সেলিম মিয়া ও রহমতুল্লাহ ভৈরবের মৌটুপী গ্রামের বাচ্চু মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তরমুজ চাষ শুরু করেন। তারা প্রথমবারের মতো ৩০ বিঘা জমিতে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন।
ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষা হাওর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের মঞ্জুনগর এলাকায় এই প্রথম কোনো কৃষক বাণিজিকভাবে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। অসময়ে তরমুজ চাষ দেখতে প্রতিদিনই শত শত দর্শনার্থী ভিড় করছেন।
সরেজমিনে জানা যায়, এসব তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। কৃষকরা জমি থেকে তরমুজ কেটে স্তূপ করে সাজিয়ে রাখছেন। তরমুজগুলো বাজারে বিক্রির জন্য পাইকাররা পিকআপ ভ্যান ভর্তি করে ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।
তরমুজ চাষি সেলিম মিয়া বলেন, ‘এ বছর প্রথম তরমুজ চাষ করে ভালোই ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে কিছু জমিতে ম্যাটান ব্ল্যাক টাইগার জাতের তরমুজ চাষ করেছি। বাকি জমিতে বাংলালিংক ড্রাগন জাতের তরমুজ চাষ করেছি। এ পর্যন্ত তরমুজ চাষে সাড়ে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাকি সময়ে আরও ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে। এ বছর যে পরিমাণ তরমুজ হয়েছে, তা বাজার দরে ১৫-২০ লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে।’
আবু কাউছার বলেন, ‘জমি থেকে পাইকাররা ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। সামনে আরও লাভবান হবো। আমাদের চাষাবাদ দেখে এলাকার কৃষকরা আগ্রাহী হয়ে উঠেছেন।’
বিসমিল্লাহ ফল ভান্ডারের কর্মচারী মো. রাব্বি মিয়া বলেন, ‘আমরা এখান থেকে তরমুজ ভৈরবের আড়তে নিয়ে যাই। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন পাইকাররা নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। আজ ৬ গাড়ি নিয়েছি। আরও ১ গাড়ি নিতে এলাম।’
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, ‘তরমুজ উচ্চফলনশীল জাতের ফসল। মৌটুপীতে বিশাল আকারে এই প্রথম বাণিজিকভাবে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এ সময়ে আগাম জাতের তরমুজ চাষ করে বেশ সফল হয়েছেন তারা। বাজারে আগাম জাতের তরমুজের বেশ চাহিদা আছে।’
রাজীবুল হাসান/এসইউ/এমএস