ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

জামালপুর

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

মাসুদ রানা | জামালপুর থেকে ফিরে | প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

যমুনার নদীভাঙনে নিঃস্ব হাজার হাজার মানুষ। প্রকৃতির ভাঙা-গড়ার খেলায় পড়ে এসব মানুষের ঠাঁই হয় আবার যমুনার চরেই। চেষ্টায় ভর করে প্রকৃতিই আবার তাদের করে ঐশ্বর্যবান। এমনই যমুনার চরের নিঃস্ব মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।

জামালপুরের চরের মানুষ পশু পালন ও চাষাবাদ করে দিন ফেরাচ্ছেন। উন্নতমানের বীজ ও চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল শিখে আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ফলন পাচ্ছেন। পাচ্ছেন ফসলের ন্যায্যমূল্যও। আধুনিক পশুপালন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পশু মোটাতাজা করে দেখছেন লাভের মুখ। তবে এক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে রয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জামালপুরের সাত উপজেলায় মোট চরের আয়তন ৪৭ হাজার ৮৯৩ হেক্টর। এর মধ্যে জামালপুর সদরে ৮ হাজার ৫১ হেক্টর, সরিষাবাড়িতে ৮ হাজার ৩৩০ হেক্টর, মেলান্দহে ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর, ইসলামপুরে ৮ হাজার ২৫০ হেক্টর, দেওয়ানগঞ্জে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর, মাদারগঞ্জে ৫ হাজার ১০০ ও বকশীগঞ্জে ৪ হাজার ২৬২ হেক্টর চরাঞ্চল রয়েছে।

জামালপুর সদর থেকে দেওয়ানগঞ্জের দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। দেওয়ানগঞ্জের মন্ডলের বাজার থেকে উত্তরের দিকে চলে গেছে একটি রাস্তা। ভাঙাচোরা রাস্তা ধরে এগোলে গাছপালা হালকা হতে থাকে। বাড়তে থাকে বালুময় মাটি। রাস্তার দুই পাশে চোখে পড়বে শুধু দ্রুত বর্ধনশীল ইউক্যালিপ্টাস গাছ। এটা চিকাজানী ইউনিয়ন। প্রায় তিন কিলোমিটার গেলে এ রাস্তার মাথায় খোলাবাড়ী বাজার। এরপরই যমুনার চর। পাশে রয়েছে চর মুগরী।

আরও পড়ুন: মধু চাষে সাবলম্বী হচ্ছে রাজশাহীর তরুণরা

কথা হয় চর মুগরীর বাসিন্দা আছিয়া খাতুনের সঙ্গে। তার দুটি সন্তান। ছেলের বয়স ৯ ও মেয়ের ৫ বছর। খোলাবাড়ীতে বাড়ি ছিল, যমুনা নদীভাঙনে ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। এখন ঠিকানা হয়েছে চর মুগরীর হাটের ভাড়া জমিতে। স্বামী রুহুল আমীন বেকার। আছিয়া এইচএসসি পাস। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও মৌখিকে টেকেননি। তিনি গবাদিপশু পালন করে সংসারের হাল ধরেছেন।

পশু পালনের উন্নত ব্যবস্থাপনা শিখে অল্প সময়ে লাভের মুখ দেখছেন তিনি। আছিয়া বলেন, ‘সর্বশেষ আমি ৬৯ হাজার টাকা দিয়ে কিনে তিন-চার মাস পালনের পর এক লাখ ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।’

আরও পড়ুন: সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি

তিনি বলেন, ‘আমি পশু পালনের নিয়ম-কানুন শিখেছি। দুটি পাত্রে ওদের খেতে দেই, একটিতে পানি আরেকটিতে ঘাস। আগে একটি পাত্রেই পানি ও ঘাস একসঙ্গে খেতে দিতাম। গরুকে খাওয়ানোর জন্য বাড়ির পাশে খালি জায়গায় উন্নতমানের ঘাস চাষ করি। গরুর প্রতি ৭৫ কেজি ওজনের জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় তিন মাস পর পর কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়াই।’

যে কোনো গরু কেনার পর চার-পাঁচ মাসের মধ্যে হৃষ্টপুষ্ট করেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা গরুর ওজনও বের করতে পারি। এতে গরু বিক্রি করার ক্ষেত্রে ঠকার কোনো আশঙ্কা নেই।

আরও পড়ুন: ওলকচুর বাণিজ্যিক চাষ

আছিয়ার মতো এ গ্রামের মমতা বেগম ও শিরিনা বেগমও গরু পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। শিরিনা বেগম বলেন, ‘আমরা গরু কিনে তিন-চার মাস লালন পালন করে বিক্রি করি। ভালোই লাভ হয়। গরুরে ঘাস খিলাই, নিজেরাই ঘাস চাষ করি। সময়মতো টিকা দেই। অল্প দিনেই তাজা করে গরু ছাইড়া দেই।’

তিনি বলেন, ‘মাস তিনেক আগে একটা গরু বিক্রি করেছি। ৫০ হাজার দিয়ে কিনছিলাম, তিন মাস পালার পর ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করি।’

মমতা বেগম বলেন, ‘দুটি গরু কিনছি এক লাখ ১৬ হাজার টাকায়। গরু দুটি কিছুদিন পালমু, বেশিদিন পালমু না। তিন-চার মাস রাহার (রাখার) চিন্তা আছে। কেনার পরই কৃমিরনাশক ট্যাবলেট খাওয়েছি। নিয়ম কইরা ঘাস, খৈল, ভুসি খাওয়াতাছি। আশা করতাছি ভালো দাম পামু।’

আরও পড়ুন: মিশ্র ফলের বাগানে কোটিপতি মাফি

ছালমা বেগমের পরিবারের সদস্য চারজন। স্বামী দিনমজুর। দুই মেয়ে। বড়টির বয়স ১৩ বছর, ছোট মেয়ের বয়স ৭ বছর। তিনি ভুট্টা চাষ করেন।

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

ছালমা বেগম বলেন, ‘ভুট্টা চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি। আগে এক বিঘায় ভুট্টা হতো ২০ থেকে ২৫ মণ, উন্নতমানের বীজ ও চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে এখন বিঘায় ফলন ৪০ থেকে ৪৫ মণ। ভুট্টার চাহিদাও রয়েছে। মণপ্রতি দাম এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা।’

তিনি বলেন, ‘ভুট্টাক্ষেতে আমরা সার দেই, স্প্রে করি। আমার স্বামী ও আমি মিলেই চাষাবাদ করি।’

কৃষক মো. শফিকুল ইসলামও ভুট্টা ও মরিচের চাষ করে দিন ফিরিয়েছেন। তিনি বলেন, নদীভাঙনে ঘরবাড়ি, জমিজমা সব শেষ হয়ে গেছে। এখন কৃষিকাজ করে ভালোই আছি, ঠিকানাও হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে ড্রাগন চাষে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন খোরশেদ

তিনি বলেন, ফলন যেমন ভালো, ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে। বিঘায় ১০ থেকে ১২ মণ মরিচ হয়। গত বছর শুকনা মরিচের মণ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। আমি ১০ মণ মরিচ বিক্রি করছি।

তিনি আরও বলেন, জমিতে সময় মতো কীটনাশক স্প্রে করি, জিংক ও বোরন ব্যবহার করি। উপযুক্ত সময়ে সার দেই। এজন্য ভালো ফলন পাওয়া যায়।

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

এ গ্রামের রমিছা বেগম ও নার্গিস বেগমও ভুট্টা ও মরিচের চাষ করে লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

চিকাজানী ইউনিয়নের চর মুগরীসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে। এখন ক্ষেতজুড়ে শুধু ভুট্টার চারার মনোহর শোভা। আর গ্রামের প্রায় প্রতি বাড়িতেই গরু-ছাগল পালন করা হয়।

আরও পড়ুন: ত্রাণ চাই না, নদীর ভাঙন প্রতিরোধ চাই

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের জামালপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল কাদির জাগো নিউজকে বলেন, ‘চরের দুর্গম এলাকায় উন্নতমানের বীজ পৌঁছে দেওয়া একটা চ্যালেঞ্জ। বাজারজাতকরণও একটি বড় সমস্যা। সেটি ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছি। নদীভাঙনের শিকার যারা তারা একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়। এদের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইসিস থাকে। ব্যাংক এদের ঋণও দেয় না।’

তিনি বলেন, ‘জামালপুরে প্রচুর ভুট্টা, বাদাম, মরিচ ও বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ হয়। দেওয়ানগঞ্জের চর এলাকার প্রধান ফসলই হলো ভুট্টা। এরপর মরিচ। এছাড়া বাদাম, কাউন হচ্ছে। চরে পেঁয়াজও হচ্ছে। আন্তঃফসলও হয়, একসঙ্গে বাদাম ও পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে।’

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান লিংকেজ তৈরি করে দেওয়ায় মোটামুটি কৃষকের ন্যায্যমূল্যটা নিশ্চিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

‘তবে এখানে যদি ভুট্টা থেকে স্থানীয়ভাবে পোল্ট্রি ফিড তৈরি করা যেত সেটা ভালো হয়। সেজন্য উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারে। শুকনা মরিচটা এখানে প্যাকিংয়ের জন্য কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে।’

মঞ্জুরুল কাদির আরও বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জ ও রাজিবপুর চরে যে বাদাম চাষ করা হচ্ছে, এটা হারভেস্ট হবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। পঞ্চগড়ে সবচেয়ে বেশি বাদাম হয়। তারা এটা বীজ হিসেবে ওখানে ব্যবহার করে। ফলে লিংকেজটা যেন করে দেওয়া হয়। তারা উচ্চমূল্যে বাদাম বিক্রি করতে পারবেন। এদের ভালো বীজও তারা ব্যবহার করতে পারবেন।’

উন্নত বীজের সঙ্গে আধুনিক কলাকৌশল প্রয়োগের কারণে মূলত জামালপুরে ফসলের উৎপাদন বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে যেখানে প্রতি বিঘায় ২০ মণের মতো ভুট্টা হতো এখন ৪৫ মণ পর্যন্ত হয়।

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জামালপুরের দুর্গম চর এলাকায় পশুপালন ও চাষাবাদের আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে জীবন মানে পরিবর্তন আনছে মূলত ‘মেকিং মার্কেটস ওয়ার্ক ফর দ্য চরস (এমফোরসি) প্রকল্প’। এ প্রকল্পে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকার। বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে রয়েছে বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি এবং সুইস কন্ট্রাক্ট বাংলাদেশ।

এমফোরসি প্রকল্পের জামালপুরের ইন্টারভেনশন স্পেশালিস্ট মো. শামসুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা চরগুলোতে মূলত বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। চর এলাকায় চুক্তিবদ্ধ ফসল চাষ, গরু ও ছাগল পালন কার্যক্রম এবং ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করছি। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা যাতে প্রয়োজনীয় ঋণসহায়তা পায় সেজন্যও আমরা কাজ করছি।’

আরও পড়ুন: রক্ষা হবে ঢাকার ১২শ হেক্টর ফসলি জমি-২৭৮০ স্থাপনা

তিনি বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি। যাতে কৃষকরা তাদের পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়। মূলত এসব কাজের মাধ্যমে চর এলাকায় উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি তারা ন্যায্যমূল্যও পাবে। এতে তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে।’

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

‘এমফোরসি প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সমন্বয়ে গ্রুপ গঠন করে দেই। তারা ফসল ফলানো ও পশুপালনের জন্য প্রশিক্ষণ পান। একই সঙ্গে বাজারজাতকরণের জন্যও তারা প্রশিক্ষণ পান। এর মাধ্যমে বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কৃষকদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।’

জামালপুরে সরিষাবাড়ি, মেলান্দাহ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ উপজেলায় এমফোরসি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১১৮টি কৃষি গ্রুপে ৩ হাজার পরিবার রয়েছে। ১০০টি গরু পালন গ্রুপে ২ হাজার ৫০০ পরিবার রয়েছে, ৮০টি ছাগল পালন গ্রুপে ২ হাজার পরিবার রয়েছে। জামালপুরে তিন ক্যাটাগরিতে গত এক বছরে ১৭ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় ফের ভাঙন, হুমকিতে ঘাটসহ শতাধিক বসতবাড়ি

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল হাসান রাজু জাগো নিউজকে বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জে মোট আবাদি জমি ১৮ হাজার ৮৩৮ হেক্টর। ভুট্টা আমাদের দেওয়ানগঞ্জে অন্যতম একটা প্রধান ফসল এখন। এবার ৫ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে এবার। ১০০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এবার ২২০ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে। মরিচ আবাদ হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে।’

ফসল চাষ-পশু পালনে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন নদীভাঙনে নিঃস্বরা

প্রতি বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ ভুট্টার ফলন ধরে এবার দেওয়ানগঞ্জে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদিত হতে পারে। একই সঙ্গে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ মণ ফলন ধরে ২ হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার টন কাঁচা মরিচ উৎপাদন হতে পারে। অন্যদিকে বিঘাপ্রতি দেড় টন উৎপাদন ধরে ৩৩০ টন বাদাম হবে বলে মনে করছেন আবুল হাসান রাজু।

আরও পড়ুন: সবজি চাষে নারীদের সাফল্য

কৃষকরা উন্নত জাতের বীজ ব্যবহার ও আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার কারণে ফলন অনেক বেড়েছে জানিয়ে এ কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সরকারিভাবে যতটুকু সহযোগিতার কথা চরের কৃষক সেভাবে পাচ্ছে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন রাতারাতি সম্ভব নয়। আমি মার্কেট লিংকেজ তৈরি করে দিতে পারি। সেটি করা হচ্ছে।

আবুল হাসান রাজু আরও বলেন, ‘দেওয়ানগঞ্জে এবার নতুন করে এক হাজার ২০০ হেক্টর নতুন চর জেগেছে। সেখানে চাষাবাদ হচ্ছে। সেখানে বাদাম, গম ও মরিচ চাষ হচ্ছে। এবার বিভিন্ন ফসলের চাষ করে লাভবান হবেন বলে মনে করছি আমরা।’

আরএমএম/এসএইচএস/জেআইএম