বছরে ৭ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেন রুবেল
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন তরুণ কৃষক রুবেল। ফুলকপি ছাড়াও শীতকালীন বিভিন্ন সবজিরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অনেক কৃষকই তার পরামর্শ নিয়ে ক্ষেতে-খামারে সবজির আবাদ করেছেন।
রুবেল আহমেদ শায়েস্তাগঞ্জের বাগুনীপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। তার বাবাও কৃষক ছিলেন। বাবার কাছ থেকেই কৃষি কাজে হাতেখড়ি রুবেলের। তিনি প্রতি বছর ৫-৭ লাখ টাকার বিভিন্ন সবজি বিক্রি করেন।
কৃষক রুবেল আহমেদ জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে তিনি ৬ হাজার ফুলকপি চারা রোপণ করেন। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। একেকটি ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে।
তিনি জানান, ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আশা করছেন, বাকি ফুলকপি বিক্রি করে আরও ১ লাখ টাকা পাবেন।
এ ছাড়াও তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, শিমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ করেছেন। এসব ফসলের পরিচর্যায় নিয়মিত ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন। এতে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন তিনি।
শ্রমিক শোয়েব মিয়া জানান, তিনি দৈনিক ৫০০ টাকা মজুরিতে কাজ করেন। বীজতলা প্রস্তুত থেকে শুরু করে চারা রোপণ, সেচ, আগাছা পরিষ্কার, বাজারে বিক্রি করা পর্যন্ত কাজ করেন। এতে ভালোভাবেই পরিবারের খরচ বহন করতে পারছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, ‘রুবেল আহমেদ এখন অনেকেরই অনুপ্রেরণা। তার সফলতা দেখে অনেকেই বিভিন্ন সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় ৭৭৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর বেশি।’
তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে। সবজি চাষ বাড়ানোর জন্য সরকারিভাবে বীজ সহায়তা ছাড়াও প্রণোদনা কার্যক্রম চলমান। কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে আছে।’
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসইউ/এএসএম