লালশাক চাষে লাভবান কৃষক আবদুর রহমান
লালশাক চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চলেছেন কৃষক আবদুর রহমান ভূঞা। চলতি মৌসুমে ১৮০ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষে খরচ করেছেন ৩০ হাজার টাকা। চার ভাগের এক ভাগ শাক বিক্রি করে আয় করেছেন ৬০ হাজার টাকা।
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের পূর্ব চন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহমান ভূঞা। চলতি মৌসুমে ১৮০ শতাংশ জমিতে লালশাক চাষ করে ভালো লাভের স্বপ্ন দেখছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বেশ লাভ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, দাগনভূঞা উপজেলায় কৃষিখাতে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। এক সময় কৃষকরা শুধু ধান চাষ করতেন। এখন অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে নানা জাতের লালশাক উৎপাদন করছেন। লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লালশাক চাষ। উপজেলায় প্রায় ৮০ হেক্টর জমিতে এ বছর উচ্চ ফলনশীল লালশাক চাষ হয়েছে।
কৃষক মো. আব্দুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘আগে আমার এ জমিতে মাছ চাষ করতাম। আমি মূলত একজন মৎস্যচাষি। এ মৌসুমে খামারে পানি সংকট থাকায় লালশাক চাষ করি। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এ পদ্ধতিতে গত বছর লালশাক চাষ করে প্রায় ৬০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। চলতি বছর অনেক বেশি লাভবান হবো বলে আশাবাদী।’
পূর্ব চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, ‘লালশাক উৎপাদন বদলে দিয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। এসব গ্রামের কৃষক এখন লালশাক উৎপাদনে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। এ ছাড়া কৃষিকাজের ক্ষেত্রে তাদের যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়, তার সবটুকুই আমাদের কাছ থেকে দেওয়া হয়। আশা করছি এবার লালশাক চাষে অনেক বেশি লাভবান হবেন।’
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসইউ/জেআইএম