ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

আমনক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

উপজেলা প্রতিনিধি | মিরসরাই (চট্টগ্রাম) | প্রকাশিত: ০৩:৩৫ পিএম, ১৪ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলতি মৌসুমে আবাদ করা আমনের ধানক্ষেতে আক্রমণ করছে কারেন্ট পোকা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক কৃষক। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পোকা দমনে ও কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাঠ পর্যায়ে না যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে কৃষি কর্মকর্তারা এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে। সবচেয়ে বেশি প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে উপজেলার ৬ নং ইছাখালী ইউনিয়নে। কম আবাদ হয়েছে উপজেলার ৪ নং ধুম ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নে চলতি বছর প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়।

jagonews24

উপজেলার ৭ নং কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন বলেন, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান। এবারও ইছাখালী চরে প্রায় তিন একর জমিতে আমনের চাষ করেছি। গত কিছুদিন ধরে দেখছি আমনক্ষেতে কারেন্ট পোকা আক্রমণ করেছে। শীষের উপরে পুড়ে যাওয়ার মতো দেখা যাচ্ছে। এবার সময়মতো বৃষ্টি হয়নি, তার উপর ডিজেলের দাম বেশি। অতিরিক্ত টাকা খরচ করে চাষীদের আমনের চাষ করতে হয়েছে। এখন ক্ষেতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা। শিগগির ব্যবস্থা না নিলে লোকসান গুণতে হবে চাষিদের।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৩৬জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কাজ করে না। আমি অনেকবার খবর দেওয়ার পরও তাদের দেখা মেলেনি।

jagonews24

মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আমনক্ষেতে কারেন্ট পোকায় আক্রমণ করেছে। তবে খুব বেশি জমিতে না। আমরা আক্রমণ থেকে রক্ষা থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলা অনেক বড়। ইউনিয়নগুলোও আয়তনে অনেক বড়। আমাদের উপ-সহকারী কর্মকর্তা যারা ইউনিয়নে দায়িত্বে রয়েছেন তারা নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে তদারকি করেন কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বলে দাবি করেন তিনি।

jagonews24

মিরসরাইয়ে সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এখানে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের উপর চরম ক্ষুদ্ধ। তিনি বলেন, ৩৬ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের কাজ হলো মাঠ পর্যায়ে, কিন্তু তারা মাঠে না গিয়ে অফিসে বসে বসে বেতন নিচ্ছেন। তিনি চলতি নভেম্বর মাস থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যাদের কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক কাজ বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

কেএসকে/এমএস

আরও পড়ুন