কবুতরের প্যারাটাইফয়েড রোগ প্রতিরোধের উপায়
শুধু শখেরবশে নয় এখন বাণিজ্যিকভাবেও কবুতর পালন হচ্ছে। কবুতর পালন করে কেউ কেউ বেকারত্বও দূর করছেন। তবে কবুতর পালন করে বেশি লাভবান হতে হলে এর বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি সম্পর্কে জানতে হবে। সেই সঙ্গে কোনো ধরনের রোগে কবুতরকে আক্রমণ করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
কবুতর যেসব রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে প্যারাটাইফয়েড অন্যতম। এই রোগে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ কবুতর মারা যায়। এবার জেনে নিন কবুতরের প্যারাটাইফয়েড প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে।
কবুতরের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে প্রধান রোগ হচ্ছে প্যারাটাইফয়েড।
বিভিন্নভাবে প্যারাটাইফয়েড রোগ কবুতরের মধ্যে ছড়াতে পারে। অপরিষ্কার খাবার পাত্র এবং পানির পাত্র থেকে এই রোগ বেশি ছড়ায়। জীবাণু সম্বলিত ধূলিকনা শ্বসনের দ্বারা এর বিস্তার হয়। এছাড়াও পোকামাকড়, মাছি ও ইঁদুর দ্বারা এই রোগ ছড়ায়।
এ রোগে দেখা দিলে কবুতরের আন্ত্রিক প্রদাহের সঙ্গে নরম, মিউকাস (আমাশয়) সমৃদ্ধ সবুজ ড্রপিংস, লিভার, কিডনী, স্পলীন আক্রান্ত হয়। ফলে স্বাভাবিক দৈহিক বৃদ্ধিহীনতা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।
প্যারাটাইফয়েড রোগের উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আক্রান্ত কবুতরের চিকিৎসা না করে সব কবুতরকে চিকিৎসা দিতে হবে। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কবুতরগুলোকে আলাদা করে সেবা এবং চিকিৎসা দিতে হবে। আক্রান্ত কবুতরের রোগ দেখা দিলেই আলাদা করে ফেলতে হবে। মারাত্মকভাবে আক্রান্ত কবুতরগুলোকে হাতে খাওয়ানো, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাল্টিভিটামিন এবং ইলেক্ট্রোলাইট দেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
এর রোগ থেকে কবুতর আরোগ্য লাভের ১৪ দিন পর ড্রপিংস বা বিষ্টা পরীক্ষা করে চিকিৎসা ফলাফল নির্নয় করা আবশ্যক। পরবর্তীতে ৩ সপ্তাহ পরপর অন্তত আরও দুইবার এই পরীক্ষা করে রোগ নির্মুল হবার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে।
কবুতরের প্যারাটাইফয়েড ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে প্রতিরোধ করতে পারলেই এই রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের দেশে এই ভ্যাক্সিন সহজলভ্য নয়।
নিয়মিত এসিডিফাইয়ার ব্যবহার করে প্যারাটাইফয়েডসহ ক্ষতিকর জীবাণু থেকে কবুতরকে সুরক্ষা দেওয়ার মাধ্যমে প্যারাটাইফয়েড প্রতিরোধ করা যায়।
এমএমএফ/এএসএম