আখ চাষে ঝুঁকছেন কুড়িগ্রামের কৃষক
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে এবার আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বন্যার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে কম খরচে বেশি লাভের আশায় আখ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন আখ চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ বছর ধরলা, দুধকুমর, ব্রহ্মপুত্রসহ বেশ কয়েকটি নদ-নদীর জেগে ওঠা চরে ব্যাপকভাবে আখের চাষ হয়েছে। আখ চাষিরা আখ কেটে তা বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন। কেউবা শেষ সময়ে আখ ক্ষেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম পরিশ্রমে ফলন বেশি হওয়ায় আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৬৪ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ১৮৫ হেক্টর জমিতে। আখ চাষিরা জানান, প্রতি বিঘা জমিতে আখ চাষ করতে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর প্রতি বিঘা জমির আখ ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এখন প্রতি ১০০ পিচ আখ ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অনেক সময় পাইকাররা ক্ষেত থেকে আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের আখ চাষি শাহাজাহান আলী বলেন, এ বছর ১ বিঘা জমিতে আখ চাষ করছি। খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। আখের পাইকার এসে জমির সব আখ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছেন, তবে এখনো বিক্রি করিনি।
ওই এলাকার আরেক চাষি হযরত আলী বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে আখ তুলবো। বর্তমান বাজার ভালো আছে খরচ বাদে আশা করি বেশ লাভবান হতে পারবো।
ধরলা পাড়ের আরেক চাষি এমদাদুল হক বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে আখ চাষ করছি। এখনও বিক্রি শুরু করিনি। প্রতি বিঘা জমির আখ ৭০ হাজার টাকার উপরে বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দিন মিয়া জানান, জেলায় এ বছর ১৮৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। তবে বন্যার কারণে আখ জমিতে হেলে পড়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও কৃষকরা লাভবান হবেন।
এমএমএফ/জেআইএম