ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ

জাগো নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২২

শাক-সবজি ও ফলমূল চাষে কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। ফলে এসব খেয়ে আমাদের স্বাস্থ্য সমস্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই কৃষকদের উচিত প্রাকৃতিক উপায়ে ফসলের রোগ ও পোকামাকড় দমন করা। এতে মানুষের স্বাস্থ্য সমস্যা কমবে।

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফসলের বিভিন্ন ধরনের রোগ ও পোকা দমন করার একটি সহজ উপায় রয়েছে। ৫০ মিলিলিটার কেরোসিন তেলে ৮৫ গ্রাম থেঁতলানো রসুন মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে।

এরপর ৯৫০ মিলিলিটার পানি ও ১০ মিলিলিটার তরল সাবান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিয়ে বোতলে রেখে দিতে হবে। ১৯ লিটার পানি সঙ্গে ১ ভাগ মিশ্রণ মিশিয়ে সকালেও বিকেলে স্প্রেয়ার দিয়ে আক্রান্ত গাছে স্প্রে করতে হবে।

Natural-1

এই মিশ্রণটি আমেরিকান বোল ওয়ার্ম, আর্মি ওয়ার্ম, পেঁয়াজের চিরুনি পোকা, আলুর টিউবার মথ, রুট নট নিমাটোড (কৃমি), আখের কাণ্ড ছিদ্রকারী পোকা, ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ, ডাউনি মিলডিউ ও ধানের ঝলসা রোগ প্রতিরোধে খুবই কার্যকরী।

অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের পাতা খেকো পোকা ও জাব পোকা নিয়ন্ত্রণে ১ কেজি পেঁয়াজ থেঁতো করে ১ লিটার পানির সঙ্গে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দেওয়ার পর কচলিয়ে রস নিংড়ে নিতে হবে। প্রাপ্ত নির্যাসের সাথে ১০ লিটার পানি মিশিয়ে আক্রান্ত ফসলে স্প্রে করতে হবে।

প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ ও জৈব কীটনাশক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন খরচ শতকরা ২৫-৩০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন প্রযুক্তিতে উৎপাদিত জৈব সার, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশিয়ামের সঙ্গে অণুখাদ্যের যোগান দেয়।

Natural-1

প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন কীটনাশক ও ছত্রাকনাশকগুলো ফসলে কোনো রকম দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ব্যতি রেখে, পোকা ও রোগ দমনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও উর্বরতা দীর্ঘমেয়াদী হয়। উৎপাদিত ফসল হয় স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ।

বন্ধুপোকা মাকড়ের (পরজীবি ও পরভোজী) সংরক্ষণের জন্য জমির পাশে অব্যবহৃত জায়গায় ত্রিধারা, উঁচুটি, শালিঞ্চে ইত্যাদি আগাছা জাতীয় গাছের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এসব বন্ধুপোকা ফসলের অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।

এমএমএফ/এমএস

আরও পড়ুন