পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে সফল কৃষকরা
মাগুরায় পতিত ও অনাবাদি জমিতে সজিনা চাষ করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজিনা চাষ করে পুষ্টির পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সজিনার বাম্পার ফলনের আশ করছেন এলাকার কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
এখানকার সজিনা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ হয়ে থাকে। এ ছাড়া সজিনা বিক্রি করে অনেকেই অর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছেন। সজিনা চাষ ইতোমধ্যেই অর্থকরী ফসল হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে এবার সজিনা বাম্পার ফলন হবে বলে আশ করছেন এলাকার সজিনা চাষিরা।
সদর উপজেলার ইছাখাদা, হাজীপুর, হাজরাপুর ও আঠারোখাদাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতে সজিনার চাষ হচ্ছে। স্কুল, কলেজের মাঠে এবং রাস্তার দুপাশে অকৃষি বা পতিত জমিতে পুষ্ঠিগুণে ভরপুর ও আশঁজাতীয় সবজি সজিনার সারি সারি গাছগুলো এখন সজিনার ভারে হেলে পড়ছে এলাকায়।
সদর উপজেলার নড়িহাটি এলাকার সজিনা চাষি মফিজ শেখ বলেন, বাড়ির সমনে রাস্তার দুই ধারে ১০টি সজিনার গাছ লাগানো হয়েছিল। গত বছর ওইসব সজিনার গাছ থেকে প্রায় ৬ মণ সজিনা বিক্রি করা হয়েছে। আশা করছি এবারও সজিনার বাম্পার ফলন পাব। বাজারে প্রথম দিকে ১০০ টাকা কেজি সজিনা বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন, জেলায় এবার ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা কয়েছে। এতে সজিনার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন। সজিনা একটি অর্থকরী আশঁজাতীয় সবজি। এটি বাড়ির পাশের অনাবাদি ও পতিত জমিতেও চাষ করা যায়। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যায় বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।
মো. আরাফাত হোসেন/এমএমএফ/জেআইএম